সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

তুলির শেষ আঁচড় মাইকেল বেভান

অনলাইন ডেস্ক / ৪৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার বলে বিবেচনা করা হয়। তবে ক্রিকেটের ভোকাবুলারিতে এই ফিনিশার শব্দটিকে বাড়তি মর্যাদা দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা মানুষটির নাম মাইকেল বেভান।

১৯৭০ সালের ৮ মে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরির বেলকনেনে জন্ম নেন মাইকেল বেভান। ১৯৯৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন বাঁহাতি লেগস্পিনার (চায়না ম্যান)।

১৮টি টেস্ট খেললেও ক্রিকেটের অভিজাত এ ফরম্যাটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বড় এক নাম ছিলেন মাইকেল বেভান। ম্যাচ শেষ করে আসার ব্যাপারে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার কারণে মাইকেল বেভানের সতীর্থরা তার নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য টার্মিনেটর’। তাকে আবার ‘দ্য ফিনিশার’ও বলা হয়।

শুধু অস্ট্রেলিয়ারই নয়, ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওয়ানডে স্পেশালিস্ট বেভান। ১৩ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ব্যাট করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বেভান।
‘সো কলড’ বিগ হিটার না হয়েও যে, আস্কিং রেটে ওভারপ্রতি ৮-৯ রান করে নেওয়া সম্ভব; সেটা সম্ভবত বেভানই প্রথম দেখিয়েছিলেন। মাসল পাওয়ার নয়, বেভানের সাফল্যের রহস্য ছিল ‘শৃঙ্খলা’ আর ‘মনের জোর’। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া আর সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা- এই দুটি জিনিসই তাকে আর দশটি সাধারণ প্লেয়ার থেকে আলাদা করেছিল।

২৩২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩.৫৮ গড়ে রান করেছেন ৬৯১২। ৪৬ ফিফটি ও ৬ সেঞ্চুরির মালিক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নট আউট থেকেছেন ৬৭টি ওয়ানডে ইনিংসে। গড়টা তাই ঈর্ষণীয়, ৫৩.৫৮।
২০০৭ সালে মাইকেল বেভান যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তখন ওয়ানডেতে ৫০-এর বেশি ব্যাটিং গড় ছিল কেবল তারই। ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়া যে ফাইনাল খেলেছিল, তাতে বড় অবদান ছিল মাইকেল বেভানের।
মাইকেল বেভান যেন ছিলেন বিশাল ক্যানভাসে তুলির শেষ আঁচড়। যে আঁচড় মুগ্ধতা তৈরি করত সেই ক্যানভাসের, যে আঁচড় সৌন্দর্যের পূর্ণতা এনে দিত, দৃষ্টিনন্দন করত ক্যানভাসকে।

পুরো নাম: মাইকেল গাইল বেভান।
জন্ম: ৮ মে, ১৯৭০ সাল।
জন্মস্থান: বেলকোনেন, অস্ট্রেলিয়া।
রাশি: বৃষ রাশি।
প্রিয় খেলা: ক্রিকেট।
প্রিয় খাবার: ফ্রাইড চিকেন।
প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।
প্রিয় রং: কালো, লাল।
প্রিয় ক্রিকেটার: ডন ব্রাডম্যান।
প্রিয় ক্রিকেট দল: অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।
প্রিয় সতীর্থ: স্টিভ ওয়াহ।
প্রিয় গাড়ি: অডি।
প্রিয় স্টেডিয়াম: মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, অস্ট্রেলিয়া ।
প্রিয় শখ: গান শোনা, ক্রিকেট খেলা।
প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর