শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন

প্রেমিকের কথায় স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন

অনলাইন ডেস্ক / ৯৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় মোরশেদ মিয়া নামের এক প্রেমিকের বিয়ের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দিয়েছে এক নারী। এরপর সেই প্রেমিকের ডাকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে ওই মেয়েটি। আর অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেমিক মোরশেদ মিয়া লাপাত্তা হয়ে গেছে। বর্তমানে চারদিন ধরে মোরশেদের বাড়িতে অনশন অব্যাহত রেখেছেন মেয়েটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, কতিপয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে বাণিজ্য করেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবদাস গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে বিয়ের দাবিতে ওই নারীর অনশনের দৃশ্য। সেখানে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে বৈষ্ণবদাস গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে মোরশেদ মিয়ার সঙ্গে লেখাপড়ার সুবাদে একই গ্রামের ওই মেয়ের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর একপর্যায়ে প্রায় ৪ বছর আগে মেয়েটির পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয় এবং সেখানে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। তবে মেয়েটির সাথে মোরশেদ মিয়ার যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। কখনো থামেনি তাদের প্রেমের সম্পর্ক।

এখনও সেই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় প্রায় সাত মাস আগে মোরশেদের বিয়ের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দেয় মেয়েটি। এরপর ১৩ এপ্রিল সকালে মোরশেদ মেয়েটিকে বিয়ে করার কথা বলে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। কিন্তু ঘটনার পর নানা বিপত্তি ঘটে এবং পরিবারের সদস্যরা এবং কিছু স্বার্থান্বেষী লোকের কারণে মোরশেদ লাপাত্তা হয়ে যায়। তবে মেয়েটি অনশন ছাড়েনি, গত চারদিন ধরে বিয়ের দাবিতে মোরশেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, মেয়েটিকে এক নজর দেখার জন্য শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছে। তবে রহস্যজনক কারণে এই ঘটনায় কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মোরশেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণেই মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনশন করছে। আমরা চাই, ওই মেয়েটির সঙ্গে মোরশেদের বিয়ে হোক। তবে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম উভয় পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিয়ে পড়ানোর জন্য টালবাহানা করছেন। ইতোমধ্যে, এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, “মোরশেদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম। ওর কথামতো আমি স্বামীকে তালাক দিয়েছি। আর বিয়ে করার জন্য আমাকে তার বাড়িতে ডেকে এনে পালিয়ে গেছে সে। এখন আমি কোথায় যাব! বিয়ে না করা পর্যন্ত এই বাড়ি ছাড়ছি না। না হলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না।”

এদিকে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মেয়েটির মা বলেন, “আমার মেয়ের বিয়ে পড়ানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও সেই বিয়ে এখনও পড়ানো হয়নি।”

এ বিষয়ে, প্রেমিক মোরশেদের মা বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে গ্রামবাসীর কাছে বিচার চাইছি।”

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, “ছেলের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া আমি কারো কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি।”


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর