সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকদের জমজমাট ব্যবসা শ্রীমঙ্গলে শিশুদের শেখার সুযোগ ও নারীদের জীবিকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা কর্মধা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল আহমদ শ্রীমঙ্গলে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই জন আটক কমলগঞ্জে শাহজালাল মর্ণিং সান স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ আগুনে পুড়ে সাংবাদিক কন্যার মৃত্যু আগামির বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান লাউয়াছড়া থেকে একরাতে ৩টি মূল্যবান সেগুন গাছ চুরি, চুরি হওয়া গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ উদ্ধার উৎসবমুখর পরিবেশে চাম্পারায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক বড়দিনের আয়োজন

কমলগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

ডেস্ক রিপোর্ট / ৯৪৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের মিছির মিয়ার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিছির মিয়ার ঘরের কেচি গেইট ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুখোশধারী একদল ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে থাকা প্রায় ৪ বড়ি স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী মিছির মিয়া।

সড়জমিনে গেলে জানা যায়, ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুখোশধারী একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে হাত,পা, মুখ, চোঁখ বেঁধে ফেলে। পরে এক এক করে ঘরে থাকা প্রায় ৪ বড়ি স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরের ভেতরে থাকা লোকজন হাল্লা চিৎকার করলে স্থানীয়রা চলে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মিছির মিয়া জানান, ‘রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশধারী ডাকাত দল আমাদের ঘরের কেচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী মেয়ে ছেলে সহ সবাইকে বেঁধে ফেলে। আমাকে অনেক মেরেছে। এক এক করে ঘরে থাকা প্রায় ৪ বড়ি স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।’

মিছির মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, ‘সোমবার ১৪ অক্টোবর আমার ছোট মেয়ের বিয়ে। ঘরের কেচি গেইট এর তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ৬ জন ডাকাত সদস্য। প্রায় ৪ বড়ি স্বর্নালঙ্গার ও নগদ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা সহ বিবাহ সরঞ্জাম নিয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে আমরা কি করবো বুঝতে পারছি না। এভাবে আমাদের সর্বনাশ হবে।’

ভুক্তভোগী মিছির মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তার জানান,‘আমার ৩ বোন ও মায়ের কান ও নাক থেকে গলার চেইন ও নাকের ফুল নিয়ে গেছে ডাকাতরা।’

প্রতিবেশী শহীদ ও আমীন মিয়া বলেন, ‘সোমবার মিছির এর মেয়ের বিয়ে। আর আজ তার ঘরে ডুকে ডাকাতরা সব নিয়ে গেলে। এখন মানুষটা চিস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সকলের সহযোগীতায় যেন বিয়েটা দিতে পারে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত যেন ডাকাতদের আটক এবং মালামাল উদ্ধার করা হয়।’

আলাপকালে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘খবর শুনে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখনো থানায় কোনো অভিযাগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর