বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউ এয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা শীর্ষে না থাকলেও রয়েছে প্রথম দশে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ১৬৪ স্কোর নিয়ে বায়ুর নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে ১৫৫ স্কোর নিয়ে বায়ুর নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে ছিল ঢাকা। এর অর্থ হলো পরপর দুই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হলো রাজধানীবাসীকে।
আজ সকালে তালিকায় বাতাসের নিম্ন মানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন।
আইকিউ এয়ারের ডেটা অনুযায়ী, শনিবারের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৬ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৪। এর মানে হলো ওই সময়টাতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।