রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির হাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমির, আফসোস করে যা বললেন কমলগঞ্জে ৪৫ দিনের নবজাতকের ঘরে গিয়ে জন্ম সনদ ও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান” লন্ডন থেকে সাইবারসিকিউরিটি সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে কমলগঞ্জের সুমাইয়া সিরাজী তুলি কুলাউড়ায় ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ মৌলভীবাজারে শনিবার ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় কমলগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃ*ত্যু কমলগঞ্জে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন; আলামত সহ মূল আসামী গ্রেফতার কমলগঞ্জে গাঁজাসহ এক নারী আটক কমলগঞ্জে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা

শেষ হয়নি আলোচনা, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ

অনলাইন ডেস্ক / ৪০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
জিম্মি হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এম আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক জিম্মি হওয়ার ২৪ দিন পার হলেও এখনো এর সুরাহা হয়নি। জলদস্যুদের সঙ্গে এখনো আলোচনা চূড়ান্ত হয়নি। দরকষাকষি অব্যাহত রয়েছে। কবে শেষ হয় তাও বলা যাচ্ছে না। ফলে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন না- এটা প্রায় নিশ্চিত। জাহাজ মালিক ও নাবিকদের স্বজনরা ঈদের আগে মুক্তির আশা ছেড়েই দিয়েছেন। তবে যেকোনো সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম সূত্রে জানা গেছে, জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হওয়া আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ আলোচনা অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজ মালিকের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। তবে এখনো সমঝোতা হয়নি। তবে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর জাহাজটির দুই দফা অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জাহাজ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করে দস্যুরা। মূলত জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তির বিষয় নিয়ে এরপরই আলোচনা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সমঝোতা নিয়ে জাহাজমালিক ও দস্যুদের মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমে এসেছে। জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।

সূত্র জানায়, এখন উভয়পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণ নিয়ে দরকষাকষি চলছে। মুক্তিপণের অঙ্ক সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ছেড়ে দিতে কত মুক্তিপণ দাবি করেছে দস্যুরা তা জানা যায়নি। মালিকপক্ষ কখনোই বিষয়টি স্বীকার করে না।

সমঝোতার পর কীভাবে জলদস্যুদের হাতে টাকা পৌঁছানো হবে তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। সমঝোতার পর মুক্তিপণ দেওয়া এবং নাবিকদের ফিরিয়ে আনা- সব বিষয়ে সময় লাগতে পারে। তবে তার জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানা গেছে। ফলে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন না এটা প্রায় নিশ্চিত।

মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমঝোতার পর জাহাজটি ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ থেকে নতুন নাবিকদের একটি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার করতে হলে দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তবে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের ছাড়ানোর পর জাহাজের মালিকপক্ষ দস্যুদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেবে কি না তা এখনো অজানা।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর