শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
দীর্ঘদিনের জমি বিরোধের অবসান; সাংবাদিক এম ইদ্রিস আলীর উদ্যোগে সমাধান সবুজে ঘেরা মৌলভীবাজার জেলাকে আরও সবুজময় করতে চাই-জেলা প্রশাসক কমলগঞ্জে বিদেশী সিগারেটসহ গ্রেফতার-২ ট্যুরিস্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের আশঙ্কা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্য কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ভুলে অন্য রেলস্টেশনে নেমে ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী, যুবক গ্রেপ্তার খুলনায় টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল সারাদেশে পাথর কোয়ারি চলবে আর সিলেটে চলবে না, এটা হবে না : বিভাগীয় কমিশনার

হাওরে মাছ ধরতে গেলে পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে যায় কুঁচিয়া, অতঃপর…

সালাহউদ্দিন শুভ / ৩৪১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

প্রতিদিনের মতো আজও কুঁচিয়া ধরতে যান মৌলভীবাজারে হাইল হাওরে কুঁচিয়া ধরতে জেলে সম্রা মুণ্ডা। এসময় তার পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল একটি কুঁচিয়া। রাতে পেটে ব্যাথা হলে ছুটে যান মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল সকালে। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পেটের ভিতর থেকে জীবিত অবস্থায় একটি কুঁচিয়াটি বের করা হয়। ঘটনাটি গত শনিবার বিকেলের। ভুক্তভোগী জেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিঙ্গা চাবাগানের সম্রা মুণ্ডা (৬০)।

পরিবার সুত্রে জানা যায়, তাঁর স্ত্রী বাগানে চা শ্রমিকের কাজ করেন। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি কুঁচিয়া ধরেন। শনিবার সকালে ছোট ছেলে তপন মুণ্ডাকে সঙ্গে নিয়ে জেলার হাইল হাওরে কুঁচিয়া ধরতে যান। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কুঁচিয়া ধরেন সম্রা।

বাবা–ছেলের সঙ্গে কথা বলে জানান, থলেতে ভরার জন্য দুই হাতে দুটি কুঁচিয়া ধরেন সম্রা মুণ্ডা। কিন্তু থলেতে ভরার আগে কাদামাটিতে পা পিছলে তিনি পড়ে যান। একপর্যায়ে হাত থেকে কুঁচিয়া দুটি ছুটে যায়। এর মধ্যে একটি তাঁর পরনের প্যান্টের মধ্যে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে পায়ুপথ দিয়ে কিছু একটা ঢুকে পড়ার অনুভূতি পান তিনি। তখন বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি সম্রা মুণ্ডা।

সম্রা মুণ্ডা জানান, তাঁদের বাড়ি থেকে হাইল হাওরের দূরত্ব প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। তিনি হাওর থেকে এলাকায় ফিরে কুঁচিয়াগুলো বিক্রি করেন। আড়াই কেজি প্রায় ৮০০ টাকায় বিক্রির পর বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু বলেননি। রাতে বাড়িতে থাকা একটি কুঁচিয়া রান্না করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া শেষ করেন।

পরের দিন সকালে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন সম্রা মুণ্ডা। এরপর ছোট ছেলেকে নিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে চিকিৎসককে পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে যেতে পারে বলে জানান। পরে সেখান থেকে সম্রা মুণ্ডাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সম্রা মুণ্ডার ছেলে তপন মুণ্ডা বলেন, বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এক্সরে পরীক্ষা দেওয়া হয়। এক্সরেতে পেটের ভেতরে লম্বা কিছুর উপস্থিতি দেখা যায়। এরপর রোববার রাতে অস্ত্রোপচার করে জীবিত অবস্থায় কুঁচিয়াটি বের করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, কুঁচিয়াটি পেটের ভেতরে জীবিত অবস্থায় ছিল। অস্ত্রোপচার করে প্রায় দুই ফুট লম্বা কুঁচিয়া মাছ বের করা হয়েছে। সেটি আরও বেশি সময় থাকলে ওই জেলের মৃত্যু হতে পারত।

ওই চিকিৎসক জানান, কুঁচিয়াটি সম্রা মুণ্ডার পেটের মধ্যে কিছু নাড়ি কেটে ফেলেছে, যার কারণে পায়খানার রাস্তা বন্ধ রেখে আপাতত নল দেওয়া হয়েছে। দেড় মাস পর আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর