শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

স্কুলে শিক্ষার্থী কমার কারণ যত্রতত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা: শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক / ৫৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
শিক্ষামন্ত্রী নওফেল- ফেইসবুক থেকে নেওয়া

সারা দেশে যত্রতত্র প্রতিষ্ঠা পাওয়া কওমি-নুরানি মাদ্রাসার কারণে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে শিক্ষার্থী কমছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নুরানি মাদ্রাসাগুলো যত্রতত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এটা কিন্তু আমাদের সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, সেটি আমাদের নিরসন করতে হবে।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কখন শিক্ষার্থীরা স্কুলগুলোতে ভর্তি হয়, সেই সময়টাতে এসব (অনিবন্ধিত মাদ্রাসা) প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় কি-না, সেগুলো নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আলোচনা করব। তবে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর হার বাড়বে, আর নিবন্ধিত ও সরকারের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমবে, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। আর এই বিষয়টি আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে।’

নওফেল বলেন, ‘অনিবন্ধিত মাদ্রাসাগুলোর বিষয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে আলোচনা উঠে এসেছে। বিশেষ করে তারা বলেছেন, সারা দেশে যত্রতত্র নুরানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের আশ্বস্ত করেছি যে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত হওয়ার যে প্রক্রিয়া আছে, এর বাইরে যারা মাদ্রাসা খুলছেন, সেগুলো কিন্তু আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্ভে করেছে। অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একেক জায়গায় একেক পরিসংখ্যান। এই সার্ভে রিপোর্টটি নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব।’

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে ফেলবে কিন্তু কোনো কারিগরি বিষয় জানবে না তা হতে পারে না। সবাইকে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি করার আদালতের নির্দেশনা রয়েছে বলে ওই সময় জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি করার আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কমিটির তদন্ত চলছে বলে যেন পুলিশি বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় নিশ্চিতভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তদন্ত কমিটি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ করছে। জেলাপ্রশাসকদের বলেছি, এমন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে সময় নেওয়া যাবে না।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর