মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বেশ কয়েকটি ফেইক (ভুয়া) আইডি খুলে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মানহানিকর অপপ্রচারে ভুক্তভোগীরা রীতিমতো অসহায় বোধ করছেন। এ বিষয়ে গত ২৩ আগস্ট কমলগঞ্জ থানায় জিডি করেন জামায়াত নেতা আবু তালেব, যার নাম্বার ১১৭১।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) উপজেলার জামায়াত নেতা আবু তালেবের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “শমসেরের নগর ডটকম ও ফারহা চৌধুরী” নামের এই দুইটি ফেইক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা ও বানোয়াট অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। যে কারণে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অকেটাই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন।অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজনের পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার একাধিক প্রতিনিধি থানায় সাধারন ডায়রি করেছেন। এসব অপপ্রচারকারীদের ফেইক আইডি সনাক্তের পর সাইবার ট্রাইবুনালে মামলারও প্রস্ততি চলছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মী বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক “শমসেরের নগর ডটকম ও ফারহা চৌধুরী” নামের এই দুইটি ফেইক আইডি সহ একাধিক ফেসবুক ভুয়া (ফেইক) আইডিতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওইসব আইডি থেকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক ও মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কারণে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। ইতোমধ্যে ফেইক আইডি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কমলগঞ্জ থানায় অন্তত কয়েকটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
এবিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হলেও সংশ্লিষ্ট আইডি’র পরিচালককে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব অপপ্রচারকারি ব্যক্তিদের ফেইক আইডি সনাক্ত হলেই সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলার জামায়াত নেতা আবু তালেব বলেন, ‘আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “শমসেরের নগর ডটকম ও ফারহা চৌধুরী” নামের এই দুইটি ফেইক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা ও বানোয়াট অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। আমি এবিষয় নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি পুলিশ দ্রুত সময়ের ভিতরে ফেইক আইডি সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহব্বায়ক এম এ ওয়াহিদ রুলু বলেন, ‘কমলগঞ্জে “শমসের নগর ডটকম” নামের একটি আইডিসহ বিভিন্ন ফেইক আইডি দ্বারা গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। অপপ্রচারকারিদের সনাক্ত কিংবা তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে না পরার বিষয়টি দুঃখজনক।’
এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত শামীম আকনজি বলেন,‘ফেইক আইডির বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। আইডি সনাক্ত করা হলেই পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’