রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির হাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমির, আফসোস করে যা বললেন কমলগঞ্জে ৪৫ দিনের নবজাতকের ঘরে গিয়ে জন্ম সনদ ও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান” লন্ডন থেকে সাইবারসিকিউরিটি সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে কমলগঞ্জের সুমাইয়া সিরাজী তুলি কুলাউড়ায় ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ মৌলভীবাজারে শনিবার ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় কমলগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃ*ত্যু কমলগঞ্জে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন; আলামত সহ মূল আসামী গ্রেফতার কমলগঞ্জে গাঁজাসহ এক নারী আটক কমলগঞ্জে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা

নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

অনলাইন ডেস্ক / ৫৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।

সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

লুৎফুল হাবিব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন লুৎফুল হাবিব রুবেল। রোববার পর্যন্ত তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

সোমবার সকালে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল ও ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন দেলোয়ার হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সি।

এ সময় জরুরি প্রয়োজনে তারা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে চড়ে কয়েকজন যুবক আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে বের হেলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাড়ির ভেতর মারধর অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যদের।

তারা আরও জানান, এক পর্যায়ে তারা দেলোয়ারকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

দেলোয়ার হোসেনকে ছেড়ে দিলেও তার ভাই আলাউদ্দিন মুন্সিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবিবের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার থেকে পুলিশ দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্তে কাজ শুরু করেছে। আলাউদ্দিন মুন্সিকে উদ্ধারে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর