রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির হাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমির, আফসোস করে যা বললেন কমলগঞ্জে ৪৫ দিনের নবজাতকের ঘরে গিয়ে জন্ম সনদ ও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান” লন্ডন থেকে সাইবারসিকিউরিটি সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে কমলগঞ্জের সুমাইয়া সিরাজী তুলি কুলাউড়ায় ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ মৌলভীবাজারে শনিবার ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় কমলগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃ*ত্যু কমলগঞ্জে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন; আলামত সহ মূল আসামী গ্রেফতার কমলগঞ্জে গাঁজাসহ এক নারী আটক কমলগঞ্জে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও প্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক / ৭৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

গত ১১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব সংশোধনী নীতিমালা-২০২৪ [Citizenship Amendment Rules (CAR) 2024] জারি করলে ভারতসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোতে বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ভারতীয় সংসদ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act- সংক্ষেপে CAA) অনুমোদন করে। এই সংশোধনীতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় নিপীড়ন বা নিপীড়নের হুমকির কারণে প্রতিবেশী মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যথা- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের সুবিধা দেওয়া হয়। তবে এই সংশোধনী সমগ্র ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তোলে যে ঝড়ে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও একটি আইনের প্রয়োগ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা (Rules) প্রণয়ন ও প্রচারের ওপর নির্ভরশীল, তবুও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পরপরই কোনো নীতিমালা জারি করা হয়নি। তবে প্রায় সাড়ে চার বছর পর ১১ মার্চ, ২০২৪-এ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধিমালা-২০২৪ (CAR) জারি করে।

ভারত এক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরাশক্তি এবং দক্ষিণ এশিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নিয়ামক। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সূতিকাগার হিসেবে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি তার কৌশলগত অবস্থান এবং শক্তিশালী সামরিক আধিপত্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এবং ভারত তার Neighborhood First Policy-এর মাধ্যমে তার অনুশীলনও করে চলেছে। দেশটি যে সক্রিয়ভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামে অংশ নিচ্ছে তা প্রমাণ করে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতা ও অগ্রগতি প্রচারের বিষয়ে ভারত সর্বদাই আন্তরিক। তার উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে, ভারত শুধু আঞ্চলিক বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করে না বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির বাণী প্রচার করে। তাই ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী এবং তা বাস্তবায়নের নীতিমালা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ভারতবিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তুলতে পারে। এর কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

প্রথমত, যারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা যুক্তি দেখায়, এটি ধর্মীয় অনুষঙ্গের ওপর নির্ভর করে নাগরিকত্ব দেয়, যা প্রকারান্তরে পক্ষপাতদুষ্ট এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের পরিপন্থি। তাই দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশ এবং সামাজিক গোষ্ঠী এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। দ্বিতীয়ত, প্রতিবেশী দেশগুলো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তসীমান্ত অভিবাসনের গতিশীলতার জন্য এর ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে বেশ ভাবিত। কেউ কেউ উদ্বিগ্ন যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সহমর্মিতার পরিবেশ ক্ষুণ্ন করবে। তৃতীয়ত, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈষম্যমূলক নীতি এবং মুসলমানদের প্রান্তিককরণের কারণে নিজেদের বিচ্ছিন্ন এবং বঞ্চিত বোধ করতে পারে। এতে উগ্রপন্থা ও চরমপন্থাকে উৎসাহিত করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভারতবিরোধী মনোভাব এবং অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

চতুর্থত, দীর্ঘবাহিত সামাজিক, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পটভূমিতে বিবর্তিত ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের দ্বারা নুতন করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং মুসলিম সমাজে ভারতবিরোধী মনোভাব তীব্রতর হতে পারে। আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার যে চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ এশিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং ভারতের যে ব্যাপারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রয়েছে, তা এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের দ্বারা বিঘ্নিত হতে পারে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর হওয়ায় এখন অনেকে মনে করেন যে আইনটি বৈষম্যমূলক কারণ এটি মুসলিম বা প্রতিবেশী দেশগুলির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অন্য সদস্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয় না। অনেকেই এই পক্ষপাতদুষ্ট পন্থাকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেন।

পঞ্চমত, বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে লক্ষ্য করে প্রণীত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে উত্তেজিত করেছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে জাতীয়তাবাদী আবেগকে উসকে দিয়েছে। ষষ্ঠত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (CAA) ঐকমত্যের অভাব পরিলক্ষিত হয়, যা ভারতীয় সমাজের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি প্রতিফলিত করে। এই আইনের সমর্থকরা এটিকে নির্যাতিত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলিকে রক্ষা করার একটি হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করে অথচ এর বিরোধিতাকারীরা একে মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি বৈষম্য এবং প্রান্তিকীকরণের একটি উপায় হিসেবে দেখে। এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষায় সরকারের ক্ষমতার প্রতি জনগণের আর আস্থার অভাব ঘটে। এমনকি ভারতের অভ্যন্তরেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। আইনের বিরোধিতাকারীরা বলছেন এটি ভারতের সংবিধানে বর্ণিত অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যায় এবং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তিকে ক্ষুণ্ন করে। এই আইনের বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের মিছিলে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

ভারতীয় মুসলমান, বিরোধীদল এবং ধর্মনিরপেক্ষ মানবাধিকার কর্মীরা অভিমত দেন যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মুসলমানদের জন্যে বৈষম্যমূলক এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের পরিপন্থি। যোগেন্দ্র যাদব নামক একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক কর্মী বলেছেন, ‘এই আইনে ভারতে নাগরিকত্বের দুটি স্তর তৈরি করা হয়েছে: অমুসলিম এবং মুসলিম।’ সমালোচকরা বলছেন যে, মোদি একটি পাড় প্রতিক্রিয়াশীল হিন্দু-জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলেছেন যা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের স্বাধীনতা সংকুচিত করার এবং ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তর করার হুমকি প্রদায়ক। অনেকে এই আইন বাতিলের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে যে, ভারতের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ করেছেন। ফলে এলাকার ভিন্ন ভিন্ন দল-মতের মানুষ একে ভিন্ন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে দেখবে এবং তাদের বর্ণনাগুলো সবই ভারতবিরোধী অনুভূতির বিকাশে অবদান রাখবে। এই ধরনের অভ্যন্তরীণ বিবাদ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ভারতের দীর্ঘদিনের সুনামকে কলঙ্কিত করবে এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে উদ্বেগের কারণ হতে পারে, যা সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার চিহ্ন হিসেবে বিরাজ করবে। ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীরা ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখতে পারে এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তর্কের ফলে সামাজিক-সম্প্রীতি ও সাম্যের প্রতি এবং দেশটির আন্তরিকতার প্রতি বিশ্বাস হারাতে পারে।

তবে বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার নামে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর নাটকীয় কাশ্মীরি শাল দাহকরণ কিংবা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমালোচনার কোনো সম্পর্ক নেই। ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপির বালখিল্য কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ বস্তুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারত সরকারের দীর্ঘলালিত পরস্পর স্বার্থসংশ্লিষ্ট সুসম্পর্কের বিপরীতে এক হিস্টিরিয়াগ্রস্ত প্রতিক্রিয়া। একটা নি-জার্ক রি-অ্যাকশন, যা কোনোই আবেদন সৃষ্টি করতে পারে নাই। মজার ব্যাপার হলো রিজভীর শাল পোড়ানোর ব্যাপারটার সমর্থন তার বাসাতেই মিলবে না। রিজভী সাহেবের স্ত্রী কি তার সখের ভারতীয় শাড়ি-চুড়ি-ফিতা-স্নো-পাউডার-আলতা-সাবান আগুনে পুড়িয়ে স্বামীর ব্যর্থ রাজনৈতিক বিকারগ্রস্ততার দৃষ্টান্ত অনুসরণের মতো বোকামি করতে চাইবে? ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ততম বন্ধু। ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নের জন্যে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে চায়।

পরিশেষে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ভারতীয় নাগরিকত্ব এবং জাতীয় পরিচয় সম্পর্কে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি নাগরিকত্বের অধিকার নির্ধারণের জন্য সঠিক মানদণ্ড এবং নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পূর্ব-বিদ্যমান উত্তেজনাকে উদ্দীপ্ত করে এই আলোচনাগুলো প্রমাণ করে যে, ভারতে ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলো একে অন্যের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ।

ভারতীয় এবং অভারতীয়দের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার একটি উৎস হলো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রবর্তন। বিতর্কিত ধারা, অভ্যন্তরীণ ভিন্ন মত এবং দীর্ঘস্থায়ী অভিযোগের ফলে ভারত ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা ও অবিশ্বাস বেড়েই চলেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) বিতর্কের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে কার্যকর সংলাপের মাধ্যমে ভারতবিরোধী মনোভাবের মূল কারণগুলো শনাক্ত করে সমস্যাগুলোর সমাধান করা যেতে পারে। সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে টেকসই সমাধান খোঁজার জন্যে গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির প্রয়োজন।

লেখক: দিভাষিক লেখক, কলামিস্ট, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর