জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জবির তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার অবন্তিকার কুমিল্লার বাগিচাগাঁও বাসায় যান তদন্ত ক মিটির সদস্যরা। এ সময় সেখানে তারা অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।
আজ অবন্তিকার বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্তের কাজ চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার শুরু থেকে শেষপর্যন্ত জানার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অবন্তির মা। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সদস্যরা পুরো ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। তারা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির এই সহযোগিতা যদি আগে থাকত তাহলে আমার মেয়ে এখন মাটির নিচে থাকত না। আমি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী মেয়েকে হারালাম।’
তদন্ত কমিটিতে আরও আছেন সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস, কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ।
এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যা মামলার প্রধান আসামি সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অবন্তিকা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা করার কিছুক্ষণ আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে অবন্তিকা এ ঘটনার জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী করেন। অবন্তিকার মায়ের করা মামলায় দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।