তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় সব পণ্যের শুল্ক কমিয়ে জিরো করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা সেই ছাড়টা দেখবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তিন তারকার ওপর যে রেস্টুরেন্ট গুলো, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য হোটেল থেকে তো যাবে না।
বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল, সেটি ২০০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল।
আইএমএফের পরামর্শে এটি করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘না, সবদিক চিন্তাভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় না কষ্ট হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ মাস পরে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে- এ বিষয়ে বলেন, এটা করার কারণটা হলো যে ছাড় দিয়েছি, সেটা হিসাব করে, কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজস্ব গ্যাপ এত বেশি, আমি তো আর বড় করে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে এগোতে পারব না।
নতুন বছরে অর্থনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি স্ট্রং তো হয়েছে, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। আমি বলব না, সব ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।