আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলেছে- শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে তারা সমর্থন দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণকে তাদের নিজস্ব সরকারের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার সুযোগ দেবে।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্যাটেল বলেন, ‘আমেরিকা সময় সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে। অবশ্যই আমরা এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন আইনের শাসনের প্রতি সম্মানকে উৎসাহিত করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক নীতিগুলোর প্রতি সম্মান, যাতে একটি রূপান্তর সফল হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের মতো আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপ-মুখপাত্র বলেন, ‘গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করার খবরে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
‘জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা এর শিকারদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার ট্রমায় ফেলে দেয়। এটি পরিবারগুলোর ওপরও অনিশ্চয়তার ট্রমা চাপিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই অপরাধের তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি।’
১৭ ডিসেম্বর এক ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক উল্লেখ করেন, ৩০ জনেরও বেশি সাংবাদিক আছেন যারা কোনো শুনানি ও জামিন ছাড়াই ৬০ দিনেরও বেশি সময় কারাগারে রয়েছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা একটি পিটিশনে সই করেছে।
তাদের অন্তত জামিন পেতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিবৃতি দেবে কিনা তা জানতে চান ওই সাংবাদিক।
জবাবে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, তারা বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দেখছেন।
মিলার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা ও সম্মান করা উচিত। আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের প্রতি সম্মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ ধরনের বিষয়গুলো মোকাবিলা করা উচিত।’