মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর এবার শিশু সোনিয়াও (৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে সে মারা যায়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। সকলের মৃত্যু একসাথে হলেও আকস্মিকভাবে সেই বেঁচে ছিল। সোনিয়া উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে গতকাল মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।
ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, ‘তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে বসতঘরের উপর ঝড় ও বজ্রপাতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনের পুরো ঘরটি বিদ্যুতায়িত ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৫ ), সাবিনা (০৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিকেল ৪ টায় ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়।