পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় যাত্রীবাহী গাড়িতে এক ভয়াবহ বন্দুক হামলায় শিয়া সম্প্রদায়ের ৪২ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পরদিনই এই সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। শুক্রবার রাতভর চলে এই সংঘর্ষ।
সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের ২৪ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ শিয়া মুসলমান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা দেশটিতে নতুন নয়।
দেশজুড়ে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করলেও কুররামসহ কিছু কিছু জায়গায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার ওই অঞ্চলের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি বাগান ও বাচাকোট এলাকার দোকানপাট, বাড়ি ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া কুররামের আলিজাই ও বাগান সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কুররামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। উভয় পক্ষই ভারী ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে একে অপরের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে।
বার্তা সংস্থা এপি’র সঙ্গে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে আগুনের লেলিহান শিখা একটি বাজারকে গ্রাস করেছে। এ সময় গুলির শব্দও শোনা যায়।
বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, হামলাকারীরা একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাস ও গাড়িতে গুলি ছুড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবারের হামলার স্থানটি লক্ষ্য করেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালায়।
রক্তক্ষয়ী এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। পুলিশও এই হত্যাযজ্ঞ চালানোর উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি।
জুলাই মাসে জমি নিয়ে বিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিষয়টি বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। সহিংসতায় এ পর্যন্ত বেশকিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।