মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হীড বাংলাদেশ এর ভূমিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলেমান হোসেন ভোট্টু ও আব্দুল মতিন হীড বাংলাদেশের অনুমতি সাপেক্ষে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর বাঘমারা গ্রামে পাহাড়ি ভূমিতে প্রায় ১২০শতক জমিতে বনজ ও ফলজ বৃক্ষ রোপন করে প্রায় ১৮-২০ বছরে আগে।
গত রোববার ( ১০ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে অপরিপক্ক গাছ কর্তন করে লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকার প্রবীণ মুরব্বি ফরিদ মিয়া ও আবদুল মিয়া বলেন, আমাদের জানামতে এই জায়গাগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমি, যা হীড বাংলাদেশ দেখাশোনা করে আসছে। এই ভূমি গুলো পরিত্যক্ত থাকায় মৌখিক ভাবে হীড বাংলাদেশ এর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে ফলজ ও বৃক্ষগাছগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলেমান হোসেন ভুট্টো ও আব্দুল মতিন রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, এখানে খেলার কোনো মাঠ ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা মুছা মিয়ার দখলীয় পরিত্যক্ত ভূমিতে স্থানীয় শিশু ও কিশোরদের খেলাধূলার আবদারের কারণে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, ইউপি সদস্য সুলেমান হোসেন ভুট্টো ও আব্দুল মতিন সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক মুছার দখলিও পরিত্যাক্ত ভূমিটি খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহারের জন্য বুঝিয়ে দেন। এই মাটিতে স্থানীয় যুবকরা প্রায় ২-৩ বছর পরে খেলাধুলা করে আসছিল। এরই মধ্যে মুছা মিয়া জায়গাটি দখল করে লেবু বাগান করে পুনরায় জায়গাটি নিজ দখলে নিয়ে যায়।
ভূমি ও রোপিত বৃক্ষের দাবিদার ইউপি সদস্য সোলেমান হোসেন ভোট্টো ও মতিন মিয়া বলেন, সম্প্রতি সরকারের পট পরিবর্তনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা শফিক, শাহাদাৎ ও আলাউদ্দিন এর ভূমি ও বৃক্ষের প্রতি লোলুফ দৃষ্টি পড়ে। তারা স্থানীয় যুবকদের মাধ্যমে এই টিলা রকম ভূমিটিকে পূর্বের খেলার মাঠ দাবী করে সংঘবদ্ধ করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মাঠ উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করে।
তারা আর-ও অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কোনো রুপ তদন্ত বা হস্তক্ষেপের পূর্বেই গত ১০ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে টিভি সাংবাদিক এর লাইভ প্রচারের ভয় দেখিয়ে মাধ্যমে স্থানীয় শফিক, শাহাদাৎ ও আলাউদ্দিন এর নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৪০ জন মিলে পরিপ্রেক্ষিত বনজ ও ফলজ প্রায় ৫ শতাধিক কর্তন করে লুটপাট করে আমাদের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। যার জন্য আমরা এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে। সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সরকারি ভূমিতে অবৈধ ভাবে যারা গাছ রোপন করেছেন তারা অবশ্যই অপরাধ করেছে। অপরদিকে যারা গাছ কর্তন করেছে তারাও অপরাধ করেছেন। আমি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবগত করেছি তিনি গাছগুলো উদ্ধার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।’