যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
ঝড়ে উঁচু ওক গাছ উপড়ে পড়ায় বাড়িঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা বন্যার পানি থেকে মানুষকে বাঁচাতে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
নিহত লোকজনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মীও আছেন।
এক নারী ও তার এক মাস বয়সী যমজ সন্তান এবং ৮৯ বছর বয়সী এক নারীর বাড়ি উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হিসাব অনুযায়ী, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়ায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার হারিকেনটির আঘাতে জর্জিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বলেন, কর্তৃপক্ষকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে এবং রাস্তা সচল করতে চেইনসো ব্যবহার করতে হয়েছিল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডার গ্রামীণ বিগ বেন্ড এলাকার একটি জনবহুল অঞ্চলে আঘাত হানার সময় বাতাসে ঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল (২২৫ কিলোমিটার)।
এ দুর্যোগে দেড় হাজার কোটি থেকে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছে মুডি’স অ্যানালিটিকস।
ধ্বংসযজ্ঞটি উত্তর-পূর্ব টেনেসি পর্যন্ত কয়েক শ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এর ফলে ৫৪ জনকে ইউনিকোই কাউন্টি হাসপাতালের ছাদে নেয়ার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে আর কাউকে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে ব্যালাড হেলথ।
নর্থ ক্যারোলাইনার ন্যাশ কাউন্টিসহ কয়েকটি এলাকায় টর্নেডো আঘাত হেনেছে, যাতে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করছেন। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ওই এলাকায় যাচ্ছেন। সংস্থাটির দেড় হাজারের বেশি কর্মী মোতায়েন করেছে এবং তারা ৪০০ জনকে উদ্ধার করতে সহায়তা করেছেন।