সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

আম নিয়ে সিন্ডিকেট ঠেকাতে সতর্কবার্তা কৃষিমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক / ৫৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। ফাইল ছবি

আম নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেছেন, এ বছর রাজশাহী এলাকায় আমের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান এবং ভোক্তারা সাধ্যের মধ্যে আম কিনে খেতে পারেন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় প্রতিবেশী ভারতসহ চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ- এই চারটি দেশ রাজশাহীর সুমিষ্ট আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার করমপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। এই দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে, আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির।

কৃষিমন্ত্রী জানান, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে।

বাগান পরিদর্শনের সময় কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার আমের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান, সেটাই লক্ষ্য। সিন্ডিকেট আমরা হতে দেব না। কিন্তু সিন্ডিকেট যারা করে, সব সমাজেই তাদের সম্পর্ক আছে।’

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের বেশি বেশি লেখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বেশি করে লেখেন। বেশি করে কথা বলেন।’

সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আম পচনশীল পণ্য। একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরাও চাই আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে। অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সে জন্য দেশের ৮ বিভাগে ৮টি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে চাই। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।’

এর আগে মন্ত্রী গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে ধান চাষ পরিদর্শন করেন। এরপর সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়িতে বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর