যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েকদিন ধরে আকস্মিকভাবে শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫০ শতাংশই ভারতীয়। ভিসা বাতিলের দিকে এগিয়ে আছে টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, মিশিগান এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশি, চীনা, নেপালি ও দক্ষিণ কোরীয় শিক্ষার্থীরাও।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইএলএ)-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। তারা বলেছে, সম্প্রতি ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের তথ্য তাদের কাছে এসেছে। যারমধ্যে ৫০ শতাংশই ভারতীয়। ১৪ শতাংশ চীনা। আর বাকিরা হলেন বাংলাদেশি, নেপালি ও দক্ষিণ কোরীয়। মার্কিনিদের এমন আচরণে ভারতীয় শিক্ষর্থীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
‘আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে ভারতের কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ভিসা বাতিলের কারণ পরিষ্কার নয়। পদ্ধতিটাও অস্বচ্ছ। এটি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ভীষণ উদ্বেগের। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ঘটনায় ভারত সরকারের অবস্থান কী? চুপচাপ বসে থাকার সময় এটা নয়।
শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের কাজটি করছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগ (আইস)। তারা গত চার মাস ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। তবে এই পরীক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরফলে নিরীহ শিক্ষার্থীরা ভুলের শিকার হচ্ছেন। যাদের অপরাধের কোনো তথ্য নেই। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিক্ষোভ হয়েছে সেখানেও তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
গত মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান তারা ‘ধরা এবং বাতিল’ নীতি অবলম্বন করছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে তারা ইহুদিবিদ্বেষী কোনো কিছু করছেন কি না অথবা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন জানাচ্ছেন কি না।