ব্রাজিল ভক্তদের মুখে প্রায়ই একটা কথা শোনা যায়, আমাদের নেইমার থাকলে ম্যাচটা জিততাম বা জয়ের ব্যবধানটা বেশি হতো। তাদের কথাটা অমূলকও নয়, ব্রাজিলিয়ান তারকা মাঠে থাকলে তাকে আটকাতেই ব্যস্ত থাকেন প্রতিপক্ষ দলের দুই বা তিনজন ফুটবলার। তবে ইনজুরি তেমনটা খুব বেশি হয় না। কারণ বেশির ভাগ সময়ই নেইমারকে ইনজুরিতে কাটাতে হয় মাঠের বাইরে।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর। উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। হাঁটুতে চোট পাওয়ার পর কেঁদে কেঁদে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সেই ইনজুরির কারণে এখনও মাঠের বাইরে ৩২ বছর বয়সী ফুটবলার। এরই মধ্যে ব্রাজিলের পাশাপাশি আল হিলালের হয়েও অনেক ম্যাচ মিস করেছেন তিনি।
টানা হারের বৃত্তে থাকা ব্রাজিলের দায়িত্ব নিয়েছে দরিভাল জুনিয়র। সর্বশেষ ব্রাজিল ইউরোপে যে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে কষ্টার্জিত জয়ের পর স্পেনের বিপক্ষে হারতে হারতে ড্র করেছে ৩-৩ গোলে। দুটি ম্যাচেই ব্রাজিল ভক্তরা যে দলের সেরা তারকা নেইমার জুনিয়রকে মিস করেছেন, তা যে-কেউ স্বীকার করতে বাধ্য। নেইমার থাকলে হয়তো ওয়েম্বলির পর সান্তিয়ানো বার্নাব্যু থেকেও জয় নিয়ে ফিরতে পারত ব্রাজিল।
চোট থেকে সেরে উঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন নেইমার। প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আপটেডও দেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ইনস্টাগ্রামের সবশেষ পোস্টে দেখা গেছে মিয়ামিতে তিনি। গোল ডটকমের খবর বলছে, মিয়ামি ওপেন দেখতে গিয়েছিলেন এই তারকা। পরে তারই কয়েকটি ছবি দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে গিয়ে তিনি ডেভিড বেকহামের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। ২০ জুন টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে এর পর্দা নামবে ১৪ জুলাই। এ আসরে নেইমার যে খেলতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়েছেন ব্রাজিলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার। গত ডিসেম্বরে গণমাধ্যমকে এই চিকিৎসক বলেন, ‘রিকভারির ক্ষেত্রে কোনো ধাপ বাদ দেওয়া যাবে না। এটা রিস্কি হয়ে যাবে।’
চলতি মাসে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, ‘হাঁটুর ইনজুরি থেকে দ্রুত সেরে উঠছেন নেইমার। তবে তার সেরে উঠতে আরও অনেক সময় লাগবে। যখন আমরা তার ফিজিওথেরাপির সময়কাল নয় বা দশ মাসের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব, কেবলমাত্র তখন বলা যাবে কবে মাঠে ফিরবে সে।’