কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রমোদতরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ আছে দুটি পরিবারের সাত সদস্যসহ আটজন।
ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রমোদতরি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীরপরিচয় জানা যায়নি।
নিখোঁজ আটজন হলেন ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মো. সোহেল রানা ও তার স্ত্রী মৌসুমি, তাদের সাত বছর বয়সী মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রাইসুল ইসলাম, ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার ৩০ বছরের রূপা দে, তার ভাইয়ের মেয়ে ১১ বছর বয়সী আরাধ্য দে এবং রূপার ভগ্নিপতি জেলার কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার ৩৮ বছর বয়সী বেলন দে ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘(শুক্রবার) বিকেলে পুলিশের কনস্টেবল ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২০ জন প্রমোদতরিতে উঠে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হয়। সন্ধ্যার দিকে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রমোদতরিটি ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবিত ১২ জন এবং এক নারীর লাশ উদ্ধার করে। এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। পরে মেঘনা নদীতে শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় ডুবুরিদল গিয়ে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করে।’