বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশেই জনপ্রিয়তা রয়েছে অভিনেত্রী শবনমের। এখনো পাকিস্তানের মিডিয়া ও সাধারণ দর্শক মনে রেখেছেন তাকে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’-এ ভূষিত হচ্ছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।
আগামী ২৩ মার্চ দেশটির ইসলামাবাদে এ পদক দেওয়া হবে। কিন্তু পদক গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। অবশেষে সে অনুমতি মিলেছে। এজন্য শবনম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রতি। জানা গেছে, বুধবারই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে বরেণ্য অভিনেত্রী শবনম বলেন, সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে জীবনের শেষ মুহূর্তে এই সম্মাননা গ্রহণ করতে পারতাম না। আমি কৃতজ্ঞ। ক্যারিয়ারে লম্বা সময় পাকিস্তানে কাজ করেছি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই মাথা উঁচু করে কাজ করেছি। যে কারণে ওরা সর্বোচ্চ পদক দিচ্ছে, আমি গর্বিত। আর পদক গ্রহণে অনুমতি দিচ্ছেন বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
আমি শুনেছি তিনি এই পদক পাওয়ার খবরে খুশিও হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, এই পদক দুই দেশের সিনেমা শিল্পের উন্নয়নে যোগসূত্র তৈরি করবে। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের। তাদের আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে এই পদক গ্রহণে যেতে পারতাম না। একই সঙ্গে পাকিস্তান সরকারকেও ধন্যবাদ।’
৬০ দশকের শুরুতে প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে অভিনয়ে হাতেখড়ি শবনমের। তিনি ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘হারানো দিন’, ‘নাচের পুতুল’ সিনেমা দিয়ে পাকিস্তানে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পান। পরবর্তীতে নিজেকে মেলে ধরতে পাড়ি জমান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। পরবর্তীতে জন্মভূমিতে ফিরে সর্বশেষ ‘আম্মাজান’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানেন। পরবর্তীতে জন্মভূমিতে ফিরে সর্বশেষ ‘আম্মাজান’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানেন।
এর আগে, শবনম পাকিস্তানে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বোচ্চ ১৩ বার নিগার, তিনটি জাতীয়, পিটিভি এবং লাক্স লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে লাহোর সাহিত্য উৎসবে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করার বিরল গৌরব অর্জন করেন শবনম।