মৌলভীবাজারের জুড়ীতে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সামছুজ্জামান রানু মহালদারকে গ্রেফতার করেছে জুড়ী থানা পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। সে বিগত তিন মাস যাবৎ অভিযুক্তের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। কাজের ফাঁকে মেয়েটির উপর কুদৃষ্টি পড়ে সামছুজ্জামান রানুর। তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সুযোগ খোঁজতে থাকে। একপর্যায়ে ধর্ষিতার মাকে ম্যানেজ করে গত তিনমাসে একাধিক বার ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত পহেলা মার্চ মেয়েটিকে আবারো ধর্ষণ করা হয়। এসময় নির্যাতন থেকে বাঁচতে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
পরে মেয়েটি সোমবার (৪ মার্চ) থানায় হাজির হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সামছুজ্জামান রানুসহ ধর্ষণে সহায়তাকারী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আতর আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪০) ও মেয়ের মাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে।
ধর্ষণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজুর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।