মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

৭ দিন ধরে মৌলভীবাজারে দুই শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ও জুড়ীর বটুলি শুল্ক স্টেশনে দিয়ে টানা সাতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে আমদানী রপ্তানী। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কোন পণ্যবাহী যান চালাচল করেনি এই দুই শুল্ক স্টেশনে। ভারতে ইসকন সদস্যদের বাঁধার মুখে বন্ধ হয়ে গেছে এই দুইশুল্ক স্টেশনের সবধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এতে মালামাল নিয়ে লোকসানের শঙ্কায় বাংলাদেশীয় ব্যবসায়ীরা।

শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরতরা বলছেন, বাংলাদেশ অংশে রপ্তানিতে কোনো সমস্যা নেই৷ ভারত থেকে মালামাল গ্রহণ না করায় আপাতত বন্ধ রয়েছে পণ্য রপ্তানি।

জানা যায়, গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ভারতের কৈলাশহরে ইসকন সদস্যরা শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে আমদানী-রফতানীতে বাঁধা প্রদান করেন। এরপর বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিপণ্য বিশেষ করে মাছ, কাঁচামালসহ পচনশীল বিভিন্ন পন্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানির সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান।

চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী সোহেল রানা চৌধুরী জানান, হঠাৎ করেই ভারতের দিকে ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এবং তারা বিক্ষোভ করে তাদের পাতাকা বেঁধে দেন। এতে করে বাংলাদেশ থেকে মালবাহি গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসাথে ভারত থেকেও কোন মালামাল আসছেনা। সাতদিন ধরে আমাদের প্রায় কোটি টাকার মালামাল আটকে যায়।ভারতে অনেক মাছসহ কাঁচা পণ্য পাঠানো হতো কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইসকন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হঠাৎ করেই ভরতের ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে সংগঠনের পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেন। এতে বিগত সাতদিনে ধরে বাংলাদেশ থেকে মালবাহী গাড়ি চলাচল করেছেনা একইভাবে ভারত থেকেও কোনো মালামাল আসছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন এই দুটি স্টেশন দিয়ে কোটি টাকার উপরে পণ্য আমদানি রপ্তানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাছসহ অনেক কাঁচাপণ্য পাঠানো হয়। তবে বানিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও যাত্রী আসা-যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে জানান শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

চাতলাপুর চেকপোস্টের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চাতলাপুর কিংবা স্থল শুল্ক স্টেশন প্রশাসনিক কোন সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়নি। ভারত অংশে কিছু লোকের বাধার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।  শুল্ক স্টেশন চালু ও আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত কথা হচ্ছে।

বটুলী শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাওন দে জানান, গত শুক্রবার থেকে ভারতে ইসকন সদস্যদের বাঁধায় বটুলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসা-যাওয়া কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা ভারতের শুল্ক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এখনো তারা কিছু জানায়নি।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর