সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায় খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে এক শিশুকে (৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার ১ নম্বর আটগাঁও ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এতে একই গ্রামরে আব্দুর রহমানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে (২৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বলেন, ‘থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামী ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার কয়েকটি শিশু খেলছিল। এসময় তোফাজ্জল হোসেন সবাইকে খাবার দেওয়ার কথা বলে তার ভাই আল আমিনের দোকানে তাদের ডেকে নেয়। এসময় শিশুটি ঘরে প্রবেশের পর তোফাজ্জল দরজা-জানালা বন্ধ করে মুখে হাত চেপে শিশুটিক ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুর মা সন্তানের খোঁজে এলে তার সঙ্গের অন্য শিশুরা জানান সে ঘরের ভেতরে আছে। তাদের কথায় শিশুর মা দোকানের ভেতরে গেলে শিশুটিকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় সে ভয়ে কাঁপছিল। পরে শিশুর বাবাকে খবর দিলে তিনি এসে মেয়েকে দ্রুত শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রাসেল মিয়া জানান, ‘এরা দুজনেই একই গোষ্ঠীর চাচতো ভাইবোন।’
ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা চলছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এরকম জঘন্য ঘটনার রফাদফা করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমি কর্ণপাত করিনি। এখন তো মামলা হয়েছে। ‘
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেনের বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাদের হাতে পায়ে ধরেও চেষ্টা করেছিলাম বিষয়টা ঘরোয়াভাবে বসে মীমাংসা করার। কিন্তু তারা কোনভাবেই মীমাংসায় সম্মতি হয় নাই ‘
ভুক্তভোগী শিশুর চাচা জানান, বাচ্চার (ভাতিজি) সঙ্গে যে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এর পূর্বেও তার আরেক ছেলে এরকম আরো ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক বিষয়টা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বলেন, শিশুটিকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যেহেতু আমাদের এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না তাই উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।