মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রী শ্রী নৃসিংহদেব এর আবির্ভাব তিথি উদযাপিত হয়েছে। বুধবার ২২ মে শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডস্থ শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের আখড়ায় শ্রী শ্রী নৃসিংহদেব আবির্ভাব তিথি উদযাপন পরিষদ এর আয়োজনে দিনব্যাপী যজ্ঞ, কীর্তন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রদান বিতরণের মাধ্যামে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানমালায় হাজারো ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়।
সনাতন শাস্ত্রমতে ঋষি কাশ্যপ এবং তাঁর স্ত্রী দিতির দুই সন্তান হয়, তাদের নাম হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যাক্ষ। দুই ভাইই ভগবান ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর তপস্যা করেন। ব্রহ্মা তুষ্ট হন ও তাদের এমন বর দেন যে পৃথিবীর প্রায় কোনও জীব এবং অস্ত্র এমনকী দেবতারাও তাদের হত্যা করতে পারবে না! এই বর পেয়ে দুই ভাই মিলে ব্রহ্মাণ্ড দাপিয়ে বেড়াতে লাগল। যুদ্ধ ও নির্বিচারে হত্যা করে দখল করতে থাকল ব্রহ্মার সকল সৃষ্টি। এমনকী স্বর্গের দিকেও নজর গেল তাদের। অবশেষে শ্রী বিষ্ণু বরাহ অবতার ধারন করে হিরণ্যাক্ষকে এবং নরসিংহ অবতার ধারণ করে হিরণ্যকশিপুকে বধ করেন।
অন্যদিকে হিরণ্যকশিপুর একটি সন্তান হয় যার নাম ছিল প্রহ্লাদ। প্রহ্লাদ ছিল শ্রীবিষ্ণুর পরম ভক্ত। ফলে হিরণ্যকশিপু আপন সন্তানের প্রতি প্রবল ক্রুদ্ধ হন ও তাকে হত্যা করতে উদ্যত হন। নানাভাবে প্রহ্লাদের জীবন শেষ করার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রতিবারই ভগবান শ্রীবিষ্ণুর নাম জপ করার কারণে আশ্চর্যরকমভাবে সে রক্ষা পায়।
তাই প্রতিবছর হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্দশীতে পালন করা হয় নরসিংহ জয়ন্তী।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অর্জুন দাশ বলেন, আমরা সনাতন রীতিতে প্রতিবছর শ্রী শ্রী বিষ্ণু অবতার নৃসিংহদেব আবির্ভাব তিথি উদযাপন করে আসছি, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আমাদের এই যজ্ঞ অনুষ্ঠান।