মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারে মসজিদের খতিব’কে মারধর করলেন মোতাওয়াল্লী

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৮৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

মৌলভীবাজার পৌর শহরের বায়তুর রব আল-রব্বানী জামে মসজিদের খতিব’কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মোতাওয়াল্লী যুক্তরাজ্য প্রবাসী বকস মো: রাশেদ আহমদ সাদত এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বকুল মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে মুসল্লিরা মোতাওয়াল্লীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে গত ১ এপ্রিল ওয়াকফ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও মুসল্লিদের কাছ থেকে জানা যায়, গত ১৫ মে মসজিদ পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে মোতাওয়াল্লী মুসল্লিদের সাথে পরামর্শ না করে নিজের বাসায় বসে বিভিন্ন এলাকার লোক নিয়ে কমিটি করেন। এ কমিটি মেনে নেননি মুসল্লিরা। এনিয়ে মুসল্লি ও মোতাওয়াল্লীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। হঠাৎ বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের সময় মোতাওয়াল্লী খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বকুল’কে মসজিদে আর না আসার কথা বলেন। পরবর্তীতে আসরের নামাজে মোতাওয়াল্লী নতুন ইমাম নিয়ে আসেন। খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বকুল’কে নামাজ পড়াতে দেননি। নতুন ইমাম দিয়ে মোতাওয়াল্লী আসরের নামাজ পড়েন। পরবর্তীতে মোতাওয়াল্লী খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বকুল’কে হুজরায় নিয়ে জিম্মি করে পদত্যাগপত্র ও আরেকটি কাগজে স্বাকর নেন এবং তাকে মারধর করেন।

খতিব অভিযোগে উল্লেখ করেন, এসময় মোতাওয়াল্লীর সাথে থাকা দুজন লোক তাকে চুরি দিয়ে প্রাণে হত্যার ভয় দেখান।

এবিষয়ে মসজিদের খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বকুল বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবত আমি এ মসজিদে ইমামতি করাচ্ছি। এ মসজিদের মুসল্লিদের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু মোতাওয়াল্লী কোনো অভিযোগ ছাড়াই আমাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আমাকে মারধর করেছেন এবং প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। মুসল্লিরা আমাকে যাচ্ছেন।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক খালেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত ১৫ মে আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষে হয়। পরবর্তীতে কমিটি করার জন্য মোতাওয়াল্লী উনার বাসায় যেতে বলেন। কিন্তু আমি জাইনি। উনার চাঁদা কালেকশন ও হিসাবে অনেক অনিয়ম রয়েছে। মুসল্লিদের সাথে কোনো পরামর্শ না করে উনি বিভিন্ন জায়গার লোক নিয়ে পকেট কমিটি করেন। মসজিদের আয় ব্যয়ের ঠিক মতো হিসাবও দেননি। মসজিদের টাকা ব্যাংকে জমা রাখেননি।

অনেকেই বলেন, মোতাওয়াল্লী যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মসজিদের নামে চাঁদা কালেকশন করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেননি।

সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মোতাওয়াল্লী খতিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বকুল’কে বাদ দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ দিলে মুসল্লিরা নতুন ইমামকে মেনে নেননি। এনিয়ে কিছু ঝামেলা হয়। মসজিদের নামে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ও তরফদারের কাছ থেকে ২’শ টাকা তোলে বিদ্যুৎ বিলের সাথে দেয়া হয়। এর বাহিরে কোনো চাঁদা আমি কালেকশন করিনি।

এবিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই মো. আবু নাঈম বলেন, মোতাওয়াল্লী ইমাম সাহেবকে বাদ দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ দিলে স্থানীয় মুসল্লির এটা মেনে নেননি। এনিয়ে ঝামেলা হয়। ইমামকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেনি, প্রাথমিক কিল ঘুষি মেরেছেন। মসজিদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মোতাওয়াল্লীর সাথে কথা বলতে চাইলে উনাকে পাইনি।

এবিষয়ে জানতে মোতাওয়াল্লীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর