যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের সূক্ষ্মভাবে নানা চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয়। এরমধ্যে মানসিক এবং পারিপার্শ্বিক কিছু বিষয় থাকে, যার ওপর নির্ভর করে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। প্রশ্ন হলো বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত কিনা বুঝবেন কীভাবে? চলুন এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক-
আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক পরিপক্কতা:
বিয়ের ক্ষেত্রে সবার আগে মানসিক পরিপক্কতা বিবেচ্য বিষয়। মানসিকভাবে যদি আপনি নিজেকে যথেষ্ট মনে না করেন, তাহলে বিয়ের জন্য আরও সময় নিন। কেননা, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই কার্যকর যোগাযোগের দক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব পরিচালনা করা জরুরি। একইভাবে সঙ্গীর প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের মানসিকতা থাকতে হবে। বৈবাহিক সম্পর্কে এসব খুবই জরুরি। আবার মানসিক স্থিরতা এবং অন্তর্নিহিত অস্থিরতা দমনেও আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক পরিপক্কতা প্রয়োজন। তা না হলে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা লেগেই থাকবে।
আর্থিক স্বাবলম্বী:
বিয়েতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে আর্থিক অবস্থা। বিয়ের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা থেকে বিয়ে পরবর্তী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ। আবার বিয়ে পরবর্তীতে দম্পতিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন হয়। এ জন্য অর্থের বিকল্প কিছু নেই। তাই সবার আগে বিয়ে নিয়ে বিচক্ষণতার সঙ্গে ভেবে আর্থিক বিষয় নিশ্চিত করে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শারীরিক প্রস্তুতি:
বিয়ের আগে ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই শারিরীক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বিয়ের অন্তত ৩-৪ মাস আগে থেকেই ব্যায়াম করে শরীরের গঠন সুন্দর করতে হবে। নিজেদেরকে শারিরীক দিকে সুস্থ্য এবং স্বাভাবিক অনুভব করলে তবেই বিয়ের পিড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
প্রতিশ্রুতি হতে হবে অগ্রসরমান:
বৈবাহিক সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময় করতে স্বামী-স্ত্রীর দু’জনেরই পৃথক ও সম্মিলিতভাবে প্রতিশ্রুতিকে বিকাশ এবং পরিপক্ক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবসময় নিজেকে পরিপক্ক করার ভাবনা থাকতে হবে। সম্পর্ক মজবুত করতে দু’জনকেই ইতিবাচক মানসিকতারও বিকাশ করতে হবে।
সমর্থন:
ভেবে দেখুন, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি তো বটেই, সামাজিক সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রেও আপনি অন্যের প্রতি সহযোগী আচরণ করেন কি না। মনে রাখবেন, বিয়ের পর জীবনসঙ্গী ও তাঁর পরিবারের প্রতি আপনার কিছু কর্তব্য থাকবে, তাঁদের সহযোগিতাও করতে হবে নানাভাবে। এসব বিষয়ে আপনি প্রস্তুত আছেন কি না, যাচাই করে নিন।
নিজের সম্পর্কে সচেতনতা:
দোষ–গুণ মিলিয়েই মানুষ। নিজের দোষ–গুণের দিকে মনোযোগী হোন, নিজেকে জানুন। আপনার দোষগুলো বিয়ের পর দাম্পত্যে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, ভেবে দেখুন। নিজের ভেতর ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। নিজের দুর্বলতা, শক্তি ও অভিজ্ঞতার আলোকে যাচাই করুন, বিয়ের মতো দায়বদ্ধতার ভার নিতে আপনি প্রস্তুত কি না।