ভোলায় কবরস্থানে জায়গা না পেয়ে জবেদা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে নিজ ঘরের মেঝেতেই দাফন করা হয়েছে। দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের আজিমদ্দি সরদার বাড়িতে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে।
ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে সফিজল ও রফিজল এবং জাহানারা ও ঝড়িনা নামে দুই মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রায়হান ও মো. হারুন জানান, মৃত জবেদা খাতুনের ছেলে রফিজলের সঙ্গে একই বাড়ির চাচাতো ভাই রফিকের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জবেদা খাতুন মারা যান। তাকে রফিকের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে গেলে তারা বাধা দেয়। পরে বুধবার তার ছেলেরা কোনো জায়গা না পেয়ে নিজ ঘরের বারান্দায় মাকে দাফন করেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কবর দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে রফিজলের বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রফিকসহ তার পরিবার বৃহস্পতিবার বিকেলে কবরটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এজন্য জবেদা খাতুনের সন্তানদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রফিজল বলেন, ‘মা মারা যাওয়ার পর দাফনের জন্য একটু জমি খুঁজছি। কেউ দেয় নাই। সাড়ে তিন হাত জমির জন্য মারে কবর দিতে পারি নাই। এহন আবার কবর তুলতে কয়। মার কবর তুলমু না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতখান থানার ওসি সত্যরঞ্জন খাসকেল বলেন, ‘জবেদা খাতুন নামে এক বৃদ্ধার কবর ঘরের মেঝে দেয়া হয়েছে শুনে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকেই কবরটি সরিয়ে নেয়ার জন্য বলছেন। যদি ওই বৃদ্ধার ছেলে ও পরিবার চায় তাহলে কবরটি সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর না চাইলে ওখানেই থাকবে।’