সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে হাজ্বী মুজিব; নির্বাচিত হলে কমলগঞ্জের কৃষি ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবো শ্রীমঙ্গলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ময়লার ভাগাড়; দরজার তালা দিলো শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় মহসিন মিয়া মধু শ্রীমঙ্গলে গাড়ি না চালিয়েই টাকা উত্তোলন! ইমেইল বা পাসওয়ার্ড ছাড়াই পুরনো ফেসবুক আইডি ফিরে পাবেন যেভাবে.. কমলগঞ্জে কৃষকদলের মতবিনিময় সভা :প্রধান অতিথি মুজিবুর রহমান চৌধুরী। আমি এমপি হলে সবাইকে সমান চোখে দেখবো;চাঁদাবাজদের সাথে আমি নাই-হাজী মুজিব কমলগঞ্জে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভরা পূর্ণিমায় নাচগানে মণিপুরিদের মহারাসলীলা উৎসব

প্রাপ্ত ঋণের ৬৭ ভাগই গেছে বকেয়া পরিশোধে

রিপোটার : / ৭২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বিদেশি ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সরকারকে। প্রতি মাসেই আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বিদেশি ঋণের যে পরিমাণ অর্থছাড় হয়েছে তার ৬৭ ভাগই চলে গিয়েছে আগের ঋণ পরিশোধে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য প্রতিশ্রুত ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়েও অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৭০২ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি ঋণের অর্থছাড় কমেছে ২০ শতাংশের বেশি।

মে মাস পর্যন্ত আগের বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এ ঋণ পরিশোধের হার ছিল ৩০৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ঋণ পরিশোধের হার বেড়েছে ২৩ শতাংশের বেশি।

চলতি বছরের ১১ মাসের প্রাপ্ত ঋণ ছিল ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। বিপরীতে পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের বেশি। অর্থাৎ এ সময়ে প্রাপ্ত ঋণের ৬৭ ভাগই চলে গেছে আগের ঋণ পরিশোধে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় বাড়ায়। তাছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তায়ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে ঋণ পরিশোধের চাপ কিছুটা মিটেছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতার কারণে উন্নয়ন সহেযাগীদের প্রতিশ্রুত বিদেশি ঋণের অর্থছাড় সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটেও বিদেশি ঋণের চাহিদা কমিয়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ছিল ১ লাখ কোটি টাকা।

ইআরডির মে মাসের তথ্যে দেখা যায়, উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ প্রতিশ্রুতিও কমিয়ে দিয়েছে। মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ প্রতিশ্রুতি এসেছে ৫৪৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ৭৯২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৩১ শতাংশ।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর