সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে হাজ্বী মুজিব; নির্বাচিত হলে কমলগঞ্জের কৃষি ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবো শ্রীমঙ্গলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ময়লার ভাগাড়; দরজার তালা দিলো শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় মহসিন মিয়া মধু শ্রীমঙ্গলে গাড়ি না চালিয়েই টাকা উত্তোলন! ইমেইল বা পাসওয়ার্ড ছাড়াই পুরনো ফেসবুক আইডি ফিরে পাবেন যেভাবে.. কমলগঞ্জে কৃষকদলের মতবিনিময় সভা :প্রধান অতিথি মুজিবুর রহমান চৌধুরী। আমি এমপি হলে সবাইকে সমান চোখে দেখবো;চাঁদাবাজদের সাথে আমি নাই-হাজী মুজিব কমলগঞ্জে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভরা পূর্ণিমায় নাচগানে মণিপুরিদের মহারাসলীলা উৎসব

কমলগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে ধলাই নদীর পানি

নিউজ ডেস্ক / ৮৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলের পানিতে কমলগঞ্জে আকস্মিকভাবে ধলাই নদীর পানি বেড়েছে। পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কমলগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২ থেকে ৩ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ধলাই নদীর পানি প্রবাহের দিকে সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শুক্রবার (৩০ মে) কমলগঞ্জ থানা সংলগ্ন পুরাতন ধলাই সেতু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিন থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে উপজেলার কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বেড়েছে।

ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা এলাকা দিয়ে মাধবপুর, আদমপুর, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, কমলগঞ্জ পৌরসভা, মুন্সিবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে দীর্ঘ ৫৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মনু নদী মিলিত হয়েছে ধলাই নদীতে। এর মধ্যে অসংখ্য স্থানে আঁকা-বাঁকা হয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এসব ইউনিয়নের ২ থেকে ৩ টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ আছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষণিক নজরদারি আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা বলেন, ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পানির কারণে ধলাই নদীর ৫৪ কিলোমিটার এলাকার প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ আছে। তার আগেও নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বন্যায় পরিণত হয়। ফলে কৃষি ও বসতঘরের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদি এখন আবার ভাঙে তাহলে আমরা মারাই যাবো। এখন আবার এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধের যেকোনো স্থান ভেঙে যেতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার পর্যবেক্ষক মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় বেশি বৃষ্টি হওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়, তবে এখনও বিপদ সীমা অতিক্রম করেনি।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) ডিএম সাদিক আল সাফিন বলেন, ‌‘শুক্রবার ভোর থেকে ধলাই নদীর পানি আকস্মিক বেড়ে যায়। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ মেরামতের কাজ করা হয়েছে। আপাতত বাঁধ ভাঙ্গার কোনো সম্ভাবনা নেই। উপজেলা প্রশাসন ধলাই নদীর পানি প্রবাহের দিকে নজরদারি করছে বলেও তিনি জানান।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর