রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
তালামীযে ইসলামিয়া নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে ছাত্রসমাজকে বিরত রাখতে কাজ করছে–এস এম মনোয়ার হোসেন বাবা ও মেয়ের গলায় দা ধরে ছিনতাই- গ্রেফতার দুই মৌলভীবাজারে হবিগঞ্জী বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, সড়ক অবরোধ-বাস ভাঙচুর  কমলগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে পূজা উদযাপন পরিষদের বৃক্ষরোপন আমিরের সুচিকিৎসা নিয়ে জামায়াতকে খোলা চিঠি আমরা জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে বেরিয়ে ক্ষমতার জন্য লড়ছি: মির্জা ফখরুল কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে: আইন উপদেষ্টা শ্রীমঙ্গলে কাভার্ডভ্যানের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১ জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, জরুরি বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

মৌলভীবাজারে বিধবা নারীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার: / ১৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এক এলাকায় গভীর রাতে এক বিধবা নারীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ১৮ মার্চ ২০২৪, রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ভুক্তভোগী নুরুন নাহার বেগম পেশায় একজন আর্থিক পরামর্শক এবং চার সন্তানের জননী। ঘটনার রাতে ৪ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত লোহার রড ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে তার বাসায় প্রবেশ করে। তারা প্রথমে মূল দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে। এরপর, এক ব্যক্তি ঘরের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল ঢালতে দেখা যায় এবং পরে পুরো বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা এবং এর পেছনে রয়েছে তার দেবর কামরুজ্জামান চৌধুরীর ষড়যন্ত্র। কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে নুরুন নাহারের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পারিবারিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। এর আগেও তিনি হুমকি দিয়েছেন এবং এমনকি শারীরিকভাবে আক্রমণ করেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কামরুজ্জামান তার বাসায় হামলা চালান এবং তার ছেলেকে মারধর করেন। অভিযোগ করেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে কামরুজ্জামান এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও পারিবারের সদস্যরা দাবি করেন।

১৮ মার্চের ঘটনার পর নুরুন নাহার বেগম ও তার সন্তানরা মৌলভীবাজার ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যান এবং এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর