শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

সিগারেট ছাড়ার উপযুক্ত সময় রমজান

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট / ৫৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫

রোজা রেখে ধূমপান করা যায় না। তাই রমজানে দিনের বেলায় বিশ্বাসী মুমিন রোজাদার ব্যক্তি ধূমপান বা তামাকসেবন করেন না। সুতরাং, ধূমপায়ী ও তামাকসেবীদের জন্য ধূমপান ও তামাক বর্জনের মহাসুযোগ এই পবিত্র রমজান মাস।

ধূমপানে বা তামাকে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা এগুলো সেবন ছাড়া দীর্ঘ সময় থাকতে পারেন না; কিন্তু পবিত্র রমজানে তারা প্রায় ১৬ ঘণ্টা তা পরিহার করে থাকেন এবং রাতের বেলায় তা গ্রহণ করলেও সীমিত মাত্রায় গ্রহণ করেন। অনেকে এমনও আছেন, রমজানের চাঁদ থেকে ঈদের চাঁদ পর্যন্ত পূর্ণ এক মাস ধূমপান ও তামাক সম্পূর্ণ বর্জন করে থাকেন।

তাই আসুন, যাদের ধূমপানের বা তামাক সেবনের বদভ্যাস আছে, তারা পবিত্র রমজানের এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাই। মহান আল্লাহ অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবেন।

ধূমপান ও তামাক সেবন অপচয়
ধূমপান ও তামাক সেবন প্রয়োজনীয় নয় এবং উপকারীও নয়; বরং শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটি সম্পূর্ণ অপচয়ের শামিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কিছুতেই অপব্যয় করো না; নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই’। (আল কোরআন, সুরা: ১৭ [৫০] বনি ইসরাইল আল ইসরা (মাক্কি)

ব্যয় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা পানাহার করো; কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (আল কোরআন, সুরা: ৭ [৩৯] আল আরাফ (মাক্কি)

ধূমপান ও তামাক সেবনের ক্ষতি

ধূমপান ও তামাক সেবনে কারও কারও মনে হতে পারে সাময়িক উপকার হয়; আসলে তা কিন্তু নয়। এর ক্ষতি চরম, দীর্ঘস্থায়ী ও বহুমুখী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু উহাদের ক্ষতি উপকার অপেক্ষা অধিক।’ (আল কোরআন, সুরা: ২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি)

ধূমপান মাদক ও নেশার সোপান

ধূমপান ও তামাক একপর্যায়ে নেশায় পরিণত হয়, যা ছাড়া ধূমপায়ী ও মাদকসেবী থাকতে পারে না। ইসলামি শরিয়তে নেশা একেবারে হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘হে বিশ্বাসী মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও শয়তানের কর্ম। সুতরাং, তোমরা তা বর্জন করো’। (আল কোরআন, সুরা: ৫ [১১২] আয়াত: ৯০-৯১)

জাহান্নাম বা দোজখের বৈশিষ্ট্য তিনটি: আগুন, ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ। এই তিনটির সমাহার ঘটে ধূমপানে। সর্বোপরি ‘ধূমপান মাদক সেবনের সোপান’, তাই ধূমপান ও তামাক সেবন এখনই বন্ধ করা উচিত।

মাসআলা

নিজের ক্ষতি করার যেমন এখতিয়ার নেই, তেমনি অন্যের ক্ষতি করাও জায়েজ নয়। একজন ধূমপায়ী নিজের ক্ষতির পাশাপাশি অন্যদেরও ক্ষতি করে থাকে, যা সম্পূর্ণ হারাম ও কবিরা গুনাহ। যারা ধূমপান করে বা তামাক সেবন করে, তাদের মুখে ও শরীরে একধরনের উৎকট বিশ্রী দুর্গন্ধ ছড়ায়; যা পাশের মানুষের কষ্টের কারণ হয় এবং তা হারাম ও নাজায়েজ।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর