বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত কমলগঞ্জে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সামাজিকভাবে বঞ্চিত দারিদ্র্য বিমোচন ও বিদ্যমান বৈষম্য লাঘব প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প পরিচিতি সভা কমলগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে দুই ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি মৌলভীবাজারে ৩৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাই পন্য জব্দ, কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ৩ সীমান্তে বিএসএফের পুশইন অব্যাহত, রোহিঙ্গাসহ ১৬ জন আটক প্রাপ্ত ঋণের ৬৭ ভাগই গেছে বকেয়া পরিশোধে সাবেক সিইসিকে হেনস্তায় জড়িতদের বিচার চান রিজভী প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা’ যুক্ত করছে ইসি! সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা এবার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

৮ মাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এল ফেব্রুয়ারিতে

ডেস্ক রিপোর্ট / ৬১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

গত ৮ মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে মোট ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) যা ২৩ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা। দেশের চাপের মধ্যে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের জন্য যা কিছুটা হলেও স্বস্তির কারণ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, এক বছরের আগের একই মাসের তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তখন ২১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ, যা ছিল সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৮ কোটি ডলার। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে, যা একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড করে।

রেমিট্যান্স বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট। বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে ব্যাংকগুলো অবশ্য এখন সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি নিজেরাও প্রণোদনা দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে ব্যাংকগুলো। এসব কারণে বৈধপথে রেমিট্যান্স আসা বাড়ছে বলে জানান তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে মোট ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। এটি তার আগের মাস জানুয়ারি থেকে ৬ কোটি ডলার বেশি এসেছে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এসেছে ২১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৪৪ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি এসেছে।

২০২৩ সালের শুরু থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী রেমিট্যান্স না এলেও বছরটির শেষ দিকে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০২৩ সালের পুরো সময়ে ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। সে হিসাবে ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

২০২৩ সালের মার্চের তুলনায় এপ্রিলে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার কমে যায়। রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোর কম দর দেওয়াই যার পেছনে ভূমিকা রাখে। তবে প্রতিবছর রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে দেখা যায়। বর্তমানে রেমিট্যান্সের এক ডলার কেনার জন্য ঘোষিত দর হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর