নিজ বসত ঘর থেকে রাফি আহমেদ (২৮) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে তার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। এদিকে রাফি আহমদের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর পরে ভাই-বোন ও স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সড়জমিনে গেলে জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিজ ঘর থেকে রাফি আহমেদ (২৮) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি খুন বলেই ধারণা করা হচ্ছে, তবে ঠিক কী কারণে কিংবা কারা এমনটি করেছে তা বলতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা। গত শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে নিজ বসত ঘর থেকে এই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাফি আহমেদ (২৮) রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলে জানা গেছে। তিনি মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের ভাতিজা ও ছত্তার মিয়ার ছেলে।
স্বজনরা জানায়, উপজেলার সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রাহিম রাফি শনিবার রাতে ঘরে একা শুয়েছিলেন। পাশের রুমে মা এবং ছোটভাই শুয়ে ছিলেন। সকালে রাফি ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় স্বজনরা রুমে প্রবেশ করে গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে এই হত্যাকান্ড তদন্ত করছে পুলিশ।
এর আগে দুপুর থেকেই রাফিকে শেষবারের মতো দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় বাড়তে থাকে স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাঁর বাড়িতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাফির এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। এলাকার একজন মেধাবী হারিয়ে তাঁরা শোকাহত বলেও জানান।
রাফির এমন মৃত্যুর বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা এই প্রতিবেদকে জানান, আমরা রাফির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করার জন্য সর্বচ্চ চেষ্টা করছি। দ্রুত সময়ের ভিতরে এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে বলে জানান এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।