রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই দিনকে ঘিরে নানা আয়োজন থাকে মুসলমানদের ঘরে ঘরে। তবে এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ আল্লাহর রাহে পশু জবাই করা। ফলে কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির বিক্রি বেড়েছে রাজধানীর প্রতিটি মহল্লায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কাঠের গুড়ি, হোগলাপাতার মাদুর, ত্রিপল, চুরি, চাকু, চাপাতির পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সাধারণত মৌসুমী ব্যবসায়ীরাই এসব পণ্য বিক্রি করেন। মাংস কাটার প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জাম কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলেন, কোরবানির ঈদের সময় তিন-চার দিনের জন্য কাঠের গুড়ি ও হোগলার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
ক্রেতারা জানান, কোরবানির পশু জবাইয়ের পর মাংস কেটে টুকরা করতে কাঠের গুড়ি ব্যবহার হয়। প্রচলিত ভাষায় এটি ‘খাইট্টা’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া মাংস পরিষ্কার স্থানে রাখা ও ভাগ করার জন্য লাগে হোগলাপাতার চাটাই, হোগলা নামেই যা বহুল পরিচিত।
বিক্রেতারা বলেন, সারাবছর কসাইখানায় এসব পণ্য ব্যবহার হয়। তবে কোরবানি এলে এসবের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এসময় সারা দেশেই অনেক পশু জবাই হয়। কোরবানিদাতাদের অধিকাংশই খাইট্টা ও হোগলা কেনেন।
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের মোড়ে মোড়ে খাইট্টা, হোগলা ও ছুরি, চাকু বিক্রির অস্থায়ী দোকান। বাজারে আকারভেদে প্রতি পিস হোগলাপাতার চাটাই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। আকার যত বড়, দামও তত বেশি। আবার গাছের ধরনভেদেও দামে পার্থক্য হয়। যেমন তেঁতুলগাছের কাঠের দাম তুলনামূলক বেশি। প্রতি পিস গুড়ি ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, কুরবানির সময়ে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আমরা বিভিন্ন স মিল থেকে গাছের গুড়ি সংগ্রহ করে থাকি। এছাড়া হোগলাপাতার চাটাইয়ের আগে থেকে চাহিদা জানিয়ে রাখতে হয়। তারপর টাকা দিয়ে আমরা সেগুলো নিয়ে আসি।
শামীম নামে এক ক্রেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, কোরবানির সরঞ্জামের দাম কিছুটা বেশি। তারপরও নিতে হবে৷ দামদরও করছি না। কোরবানি আল্লাহর নামে দেব, দামদর একটু বেশি হলেও কষ্ট লাগে না।