বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদে আজ কংগ্রেস দল একটি বিক্ষোভ মিছিল এবং পথসভা আয়োজন করে।
মিছিলটি কৈলাসহরের জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক পরিক্রমা করে আরকেআই বিদ্যালয়ের ময়দানে এসে শেষ হয়। সেখানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরুজ্জামান, কংগ্রেস নেতা রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য্য এবং চন্দ্রশেখর সিনহা।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলমান থাকায় এটি শুধু মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, বরং এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ এবং ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন,কিছু রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট ব্যক্তিরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার ফলে দুই দেশের অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি শ্রমিক ও চালকদের জীবিকা বিপন্ন হয়েছে। এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করতে হবে।
বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা তার বক্তব্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি চালু না হলে আমি নিজে বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ব্যবসা পুনরায় শুরু করব। এই ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিক, চালক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো সারা বিশ্বের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিতে হবে।
এই বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া এই খাতের সাথে জড়িত শ্রমিক ও যানবাহনের চালকদের আয়ের বড় অংশ বন্ধ হয়ে গেছে। কংগ্রেস নেতারা মনে করেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এর প্রভাব দুই দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর পড়বে।
এই বিক্ষোভ ও পথসভা কংগ্রেস দলের দৃঢ় অবস্থানকে তুলে ধরেছে। নেতারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য পুনরায় চালুর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি শুধু স্থানীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রেরণ করে।