অব্যাহত বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকার কেওলার হাওর ও বিভিন্ন বিলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে পড়ছে। ফলে মাছ, ব্যঙ, কুচিয়া, সাপসহ জলজ প্রাণী ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে অবৈধ কিছু কারেন্ট জাল ধ্বংস করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এক ঝটিকা অভিযানে কেওলার হাওর থেকে নিষিদ্ধ কিছু কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। পরে এগুলো পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে নিয়ে ধ্বংস করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি অতি বর্ষনের ফলে হাওর ও নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে উপজেলার পতনঊষার, মুন্সীবাজার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল কেওলার হাওর, মকাবিল সহ বিভিন্ন জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে পড়ছে। একশ্রেণির মাছ শিকারী চক্র বর্ষা মৌসুমে এভাবে হাওর ও জলাধারকে কেন্দ্র করে শত শত কারেন্ট জাল ফেলে মাছ শিকার করছে। মাছের সাথে কারেন্ট জালে ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে। স্থানীয় হাটবাজার সমুহেও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে নিষিদ্ধ এসব কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে।
পতনঊষারের সমাজকর্মী ফটিকুল ইসলাম, মোজাহিদ আলী সহ স্থানীয়রা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে কেওলার হাওরে অবাধে কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি শুরু হয়। ফলে মা মাছসহ জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে এবং পরিবেশেরও ক্ষতি বয়ে আনছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা না থাকলে মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে পড়বে।
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর বলেন, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের কারনে মা মাছ সহ জলজ প্রাণী ধ্বংস করে দিচ্ছে। আজ কিছু জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হচ্ছে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।