২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কাজ করছে সরকার। নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কী হতে পারে?
‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন; সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দেবে।’
এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনের দিনক্ষণ, তফসিল সব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানাবে। তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে ধরে নেয়া যায় যে ২০২৬ সালের ৩০ জুন বা কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কতটা সংস্কার হবে তা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কমিশন সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে। ঐকমত্যের ক্ষেত্রে কমিশন কেবল ছোট দল ও বড় দল নয়; সমাজের প্রতিটি অংশীজনের মতামতকে গুরুত্ব দেবে।’