পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ্রমিক লীগ একজন নেতা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির একটি কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। এসময় অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির খান ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার খুনি ফ্যাসিবাদী পতিত আওয়ামী সরকারের একটি অঙ্গ-সংগঠনের প্রথম শ্রেণির নেতা বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি লজ্জাজনক। সবচাইতে পরিতাপের বিষয় তাকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি স্ট্যাজে অতিথিদের পাশেই বসেছিলেন। সভায় উপস্থিত কয়েকজন তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছে। পতিত হাসিনা সরকারের আমলে আবুল কালাম বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। বিএনপির কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, দলীয় সাংগঠনিক নির্দেশনা মোতাবেক এ ঘটনায় দায়ী সকল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাউফল উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তিনি। বিষয়টি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও তারেক রহমানের সাথে বেইমানীর শামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, আসর নামাজ শেষে যখন মিলাদ হয়েছে, তখন অন্যান্য মুসল্লিদের সাথে তিনি ঢুকে গিয়েছিলেন। তাকে দাওয়াত করা হয়নি।
অতিথিদের পাশেই কিভাবে বসলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মি. রুহুল বলেন, এটা শুধুমাত্র মিসটেইক, এছাড়া অন্যকিছু না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হইছে।
বাউফল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে অবশ্যই অভিযুক্ত ইউনিটের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শ্রমীক লীগের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের ডোনার হিসাবে পরিচিত। তিনি আওয়ামী লীগের সময়ে পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার ছিলেন।