মাহফিল থেকে ফেরার পথে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সদস্যসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ইসলামি বক্তা আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
একটি ট্রাক শনিবার রাতে পেছন থেকে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে ধাক্কা দিলে আবদুল হাই সাইফুল্লাহ গুরুতর আহত হন।
টাঙ্গাইলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাইফুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেন আবদুল হাই সাইফুল্লাহর বাবা নওগাঁ জেলা ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সভাপতি মুহাদ্দিস আ.ন.ম আকরাম হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ট্রাক পেছন থেকে আমার ছেলেকে বহনকারী গাড়িটিতে আঘাত করে। এতে গাড়িটির সামনে ও পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নেয়া হয় সাইফুল্লাহকে। তার বুকে, চোখে এবং পিঠে আঘাত পান। ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ বর্তমানে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার পল্লবীর মসজিদুল জুম’আ কমপ্লেক্সে। একই সঙ্গে বেসরকারি টেলিকম সেবাদানের প্রতিষ্ঠান ইবিএসের রিলিজিয়াস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত।
তিনি কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হওয়ার সুবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল পান। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং সেখানে পিএইচডি গবেষণারত।
আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রয়াত প্রখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের ছাত্র।