‘অনুরক্তির চিঠি দিও’
রক্তলাল পদ্মের সহিত কালো একটি খামে
আমায় তুমি একটা চিঠি দিও,
যেথায় থাকবে লেখা কিছু না পাওয়া অধ্যায়ের
আঁধারিয়া অম্বর হয়েছিল প্রিয়।
বুকের গহ্বরে ছিল যে, স্বপ্ন দিয়েছি কবর
হোক তারও কিছু পংক্তি আজ লেখা,
শর্বরী জোনাকি গুলো উৎসব করেছিল
সাঁঝকন্যা রূপে হয়নি দেখা।
অনেকটা পথ হেঁটে গিয়েছিলাম, জীবনের গন্তব্য থামিয়ে দিলো
স্বর্ণাভ সুখানুভূতিতে সেকথাও লিখতে ভুল না হয়,
ভুলো-মনে অনেকটা কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম
দেখিয়ে দিলে বাস্তবতা, সেটাও লেখা যেন রয়।
ডায়রির অনেকটা অধ্যায় তোমাকে নিয়ে লেখা আমার
সে কথাও তুমি অপ্রিয় ঘুমকুমারীর জন্য উল্লেখ করো,
ভাবনারা জমাট হয়ে যখন তোমার দোরগোড়ায় কড়া নাড়তো
তখনও তুমি নিরব ও নিষ্প্রাণ থাকতে সেটাও সবাই পড়ো।
জীবনের ক্লান্তিকর লগ্ন-গুলো, বিচ্ছেদের হোমবহ্নি গুলো, বিভিষীকাময় উক্তি গুলোতেও কিঞ্চিৎ সান্ত্বনা পাইনি
সেটাও প্রিয় লেখো,
জানি; ছোট্ট লেখনীতে শেষ হবার নহে, তবুও
আমাদের খুনসুটি গুলো লেখতে ভুল না যেন হয় দেখো।
প্রিয়; প্রতিহিংসার অনুরক্তি গুলো
চিঠি তে তুমি লিখে দিও,
অনুরক্তির অনুভূতি গুলো মায়ারণ্যে
কল্পকন্যা হয়ে হৃদপূর্ণিমা গড়েছিল জেনে নিও।
খামের উপর ঠিকানা দিও স্বর্ণাভ সুখানুভূতি
আত্ম-বলিদান দিয়েছে প্রেমের সকল অনুভূতি !
লেখক— শেখ সেলিনা আক্তার প্রিয়া