নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া আলম রোমিও’র বিরুদ্ধে গত বছরের জানুয়ারি মাসে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন মাসুদা খানম নামের এক নারী। এরই জেরে গত মাসের ৬তারিখ রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পার-নওগাঁ মহল্লায় ওই নারীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে রোমিও ও তার সহযোগিরা। ঘটনার পর ২০আগষ্ট মাসুদা খানম বাদী হয়ে নওগাঁর আমলী আদালতে ১ এ জীবননাস ও ভাংচুরের অভিযোগে এনে আরেকটি মামলা করেন রোমিও তার প্রায় ২০জন সহযোগির বিরুদ্ধে। বর্তমানে ভুক্তভোগি ওই নারী প্রাণসংশয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
বাদী মাসুদা খানম মামলায় উল্লেখ করেন, প্রেম ভালোবাসা এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়িতে প্রবেশ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূবর্ক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ এর কারনে আমার গর্ভে সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানের নাম রাজকুমারী রোজা আলম। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আমি আদালতে মামলা করি। সে প্রভাবশালী হওয়ায় ২টি মোকদ্দমার কখনো হাজির না হয়ে আদালত অবমাননা করে এবং আমাকে এবং আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এরই প্রেক্ষীতে গত মাসের ৬তারিখ রাত সাড়ে ১১টার দিকে রোমিও সহ ১৫-২০জন আমার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লাঠি,শাবল, হাসুয়া ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা লোহার দড়জা কেটে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে বাড়ির দড়জা জানালা ভাংচুর করে। তার পর ঘরের ভেতরে থাকা ল্যাপটপ, সোকেজ টিভিসহ প্রায় ৪লাখ টাকার জিনিপত্র ক্ষতি করে। তার অস্ত্র উচিয়ে অনেকক্ষণ যাবৎ টান্ডব চালিয়ে ও পরবর্তীতে যেখানে পাবে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে মাসুদা খানম প্রতিদিনের মৌলভীবাজার এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার অভিযোগটা এখানকার ছাত্রদল সভাপতি জাকারিয়া আলম রোমিও’র বিরুদ্ধে। মূলত আমি উনার নামে গত বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি নারী শিশু আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছিলাম। মামলাটি বর্তমানে চলমান বিচার প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। এই মামলার জেরে গত মাসে উনি আমার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমি আবারো একটি ভাঙচুর এবং লোক মামলা দায়ের করি নওগাঁ আমলী আদালতে। এই মামলাটিও পিবিআইতে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। মূলত এই দুটি মামলারই আসামী জাকারিয়া আলম রোমিও। সম্পর্কে উনি আমার মামা হন। সে বিবাহিত একজন পুরুষ। আমি বর্তমানে এই অভিযোগটা করতে চাই যে, একজন ধর্ষণ মামলার আসামী সে কি করে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হতে পারে। আশা করি বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন দলের দায়িত্বশীলরা।’
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া আলম রোমিও প্রতিদিনের মৌলভীবাজারকে বলেন, ‘আমি যদি চাইতাম ৫তারিখের পর অনেক কিছুই করতে পারতাম। আমার নামে অভিযোগগুলো সঠিক নয়। সে মামলা করেছে আমিও আইনিভাবেই লড়াই করবো।’