‘আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়। শনিবার (৯ আগস্ট) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার আয়োজনে র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ফোরামের সভাপতি ফ্লোরা বাবলী তালাং।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- ধরিত্রী রক্ষায় আমরার সদস্য সচিব শরিফ জামিল, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী অধিকার সুরক্ষা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ডাডলি ডেরিক প্রেন্টিসসহ প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে ১১টি দাবি জানানো হয়, সেখানে বলা হয়েছে–আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারসহ আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকতি দিতে হবে, সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য পথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে, আদিবাসীদের সম্পর্কে বিস্তৃত, খড়িত বা মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী সকল গণমাধ্যম, মিডিয়া বা প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ বাবস্থা প্রহণ করতে হবে, বৃটিশ শাসক কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯২৭ সালের বন আইন সংশোধনপূর্বক বনভূমির উপর আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত অধিকার পুনপ্রতিটি কারে হবে, বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন আদিবাসী অঞ্চলে আদিবাসীদের উপর বনবিভাগের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আদিবাসীদের স্বাতন্ত্র ও নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটিয়ে পর্যটন ও ইকোপার্ক প্রকল্প গ্রহন করা যাবেনা। সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের ছবি দখল। উচ্ছেদ, নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, খাসি জনগোষ্ঠীর জীবন ধারনের একমাত্র অবলম্বন পানজমের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর। ঝিমাই পুঞ্জিসহ বিভিন্ন পুঞ্জির পান গাছ কাটার সাথে জড়িত বাক্তিদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী, ভূমির অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত কর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালে গৃহিত আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্র ও আইএলও ১৬৯ নং কনভেনশন অনুসমর্থন ও আইএলও কনভেনশন ১০৭ বাস্তবায়ন করতে হবে, আদিবাসীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদসংখ্যার অনুপাতে যৌক্তিক হারে কোটা সংরক্ষন করতে হবে, বাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, ছাত্র- ছাত্রী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।