সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকদের জমজমাট ব্যবসা শ্রীমঙ্গলে শিশুদের শেখার সুযোগ ও নারীদের জীবিকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা কর্মধা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল আহমদ শ্রীমঙ্গলে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই জন আটক কমলগঞ্জে শাহজালাল মর্ণিং সান স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ আগুনে পুড়ে সাংবাদিক কন্যার মৃত্যু আগামির বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান লাউয়াছড়া থেকে একরাতে ৩টি মূল্যবান সেগুন গাছ চুরি, চুরি হওয়া গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ উদ্ধার উৎসবমুখর পরিবেশে চাম্পারায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক বড়দিনের আয়োজন

কমলগঞ্জে বন্যায় কৃষির ব্যাপক ক্ষতি

ডেস্ক রিপোর্ট / ৮৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙ্গনের ফলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা, পানি বন্ধি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বসতঘর, মৎস্য খামার ও গ্রামীণ সড়ক। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি খাত।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ১ শত হেক্টর আউশ ও ৩ হাজার হেক্টর আমনের ফসল ও সবজ্বি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নেরর ছাইয়াখালী হাওর, পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর এলাকা সবচেয়ে নিচু হওয়ায় ও বন্যার পানি স্থায়ী হওয়ায় সেখানকার কৃষক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি আমনের চারা না থাকায় কৃষকরা পাশের উপজেলা থেকে অধিক মূল্যে চারা সংগ্রহ করছেন।

কৃষক মসুদ মিয়া, সামসু মিয়া, আবুল খায়ের জানান, ‘আমনের চারা রোপণ করার কয়েক দিন পর থেকে বন্যা শুরু হয়। বন্যার পানির নিচে থাকায় জমির আমনের রোপিত চারা পচে নষ্ট হয় যায়। এখন বন্যার পানি কমলেও নতুন করে চাষ করার মতো সময় নেই। তাছাড়া সার, বীজ এবং শ্রমিকের মজুরি বাবদ যে অর্থ খরচ হবে সেটাও ব্যয়ভার বহন কঠিন। সরকারীভাবে সহযোগিতা না করলে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব, এখন অনেক কৃষকের অবস্থাই তাদের মতো।’

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় জানান, ‘বন্যায় উপজেলার সাড়ে ৬ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে দ্রুত সময়ে আমনের ৭৫ ও বীনা -১৭ জাতের বীজ সরবরাহ করা হবে। যা দ্রুত সময়ে রোপন করা যাবে, এতে কিছুটা হলেও কৃষক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর