মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন কমিটির আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শত কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল জাতের রোপা আমন ধানের বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (৩১আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিস কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
জানা যায়, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙ্গনের ফলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা, পানি বন্ধি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বসতঘর, মৎস্য খামার ও গ্রামীণ সড়ক। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি খাত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ১ শত হেক্টর আউশ ও ৩ হাজার হেক্টর আমনের ফসল ও সবজ্বি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নেরর ছাইয়াখালী হাওর, পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর এলাকা সবচেয়ে নিচু হওয়ায় ও বন্যার পানি স্থায়ী হওয়ায় সেখানকার কৃষক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি আমনের চারা না থাকায় কৃষকরা পাশের উপজেলা থেকে অধিক মূল্যে চারা সংগ্রহ করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় জানান, ‘বন্যায় উপজেলার সাড়ে ৬ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। আজ ৬শত কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল জাতের রোপা আমন ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও কৃষক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। কৃষকদের পাশে আমরা সবসময় আছি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমিতে নতুন ধানের চারা রোপন জরুরী। বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ প্রদান করে ৬শত জন কৃষকের মাঝে ধানের বীজ বিতরন করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি। কৃষি পুনর্বাসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’