প্রায় তিন ঘন্টা বৈঠক শেষে অবশেষে সিলেটে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিবহন নেতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিভাগীয় প্রশাসনের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
টানা তিন ঘন্টার বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।
তিনি বলেন, পরিবহন নেতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটি পরিবহন শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াগুলো সুপারিশ আকারে প্রস্তাব করবে। পরে সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমীর মোঃ ফখরুল ইসলামসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে বেলা দেড়টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
পরিবহন শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি ছিল, সড়ক পরিবহণ আইন ২-১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহণের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর-বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহি গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।