আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও হুমকির কারণে শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীরা ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভুক্ত ভোগীরা অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রায়শই জাতীয় ইভেন্ট এবং দলীয় কার্যক্রমের নামে চাঁদা দাবি করছেন। চাঁদা না দিলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট এবং ভংচুর চালানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ জুন দুপুর ১টার দিকে আওয়ামী লীগের শ্রীমঙ্গল থানা শাখার সভাপতি শংকর কুমার সাহা ৭-৮জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী সহ “আহমেদ রেন্ট-এ-কার” কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
সেখানে উপস্থিত ম্যানেজার রাজনের কাছে রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ীর অবস্থান জানতে চাইলে, তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি নিরাপদ স্থানে সরে যান। ব্যবসায়ীকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার রাজনকে ৫০লাখ টাকা চাঁদা দিতে চাপ দেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ম্যানেজার সহ আরও তিনজন কর্মচারীকে মারধর করা হয়।
হামলার সময় সন্ত্রাসীরা শোরুমে থাকা দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং অস্ত্র দেখিয়ে একটি মাইক্রো ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কার নিয়ে যায়। পরে গাড়িগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য আরও অর্থ দাবি করা হয়।
শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীরা থানায় বহুবার অভিযোগ করলেও, পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ভুক্ত ভোগীদের দাবি, থানার শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শংকর কুমার সাহা ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজির পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাঁদার অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ এবং ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি হুমকির মাত্রা এতটাই প্রবল যে, তারা যে কোনো সময় অপহরণের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন।
প্রতিবছর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির কারণে শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীরা ভীত-সন্ত্রস্ত জীবনযাপন করছেন। ভুক্তভোগীরা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ এবং বিচার বিভাগের সুষ্ঠু ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।