কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খুনের ঘটনায় বের হয়ে এলো আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এমপি আনার খুনে অংশ নেওয়া এক অপরাধী নিজেই আদালতে স্বীকার করেছেন তিনি আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জবানবন্দি দেন তানভীর ভূঁইয়া।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেশাদার অপরাধী শিমুলের সঙ্গে তানভীরও এই খুনে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আনোয়ারুলকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যায় অংশ নেন।
সূত্র আরও বলছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে উঠে এসেছে যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীর গত ৬ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে সল্টলেক ও নিউ টাউনের মাঝামাঝি এলাকায় ত্রিশিব হোটেলে ওঠেন। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে কলকাতায় নিয়ে যান।
এর আগে ৩০ এপ্রিল কলকাতায় পৌঁছান ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন। তার সঙ্গে কলকাতায় যান বান্ধবী শিলাস্তি রহমান এবং ভাড়াটে খুনি শিমুল ভূঁইয়া। তারা গিয়ে আক্তারুজ্জামানের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ওঠেন। শিলাস্তি নিজে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও ঘটনার দিন তিনি ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন বলে জবানবন্দিতে বলেন।
পুলিশ বলছে, আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাকে প্রলুব্ধ করে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, তাদের সহযোগী জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী প্রমুখ। খুনের আগেই আক্তারুজ্জামান ঢাকায় চলে আসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ফ্ল্যাটেই সংসদ সদস্যকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পরে লাশ টুকরা টুকরা করে গুম করা হয়। তানভীর নিজে বালিশ চাপা দেন বলে জবানবন্দিতে বলেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে তানভীর ও শিলাস্তিকে জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আছেন। জিহাদ নামের আরেক আসামি কলকাতায় গ্রেপ্তার আছেন। সিয়াম নামের আরেক আসামি নেপালে আটক আছেন।