মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলাই নদীতে পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী লিপি আক্তার (৩৬) নামের এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোজ নারীকে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে কাজ করলেও নিখোঁজ নারীকে উদ্ধার করতে পারেনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১ জুন) দুপুর ১টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ধলাইরপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্যহীন নারী লিপি আক্তার একই এলাকার মৃত কছির মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিপি আক্তার জন্মগতভাবে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে ধলাই নদীর পাড়ের দিকে হাটতে লাগছিলেন। হঠাৎ করে নদীর পাড় স্লিপ করে নদীতে পড়ে ডুবে যান। এসময় আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করার আগেই পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসের অফিসে এসে সাহায্য নেয়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সাথে সিলেট থেকে নিয়ে আসা একজন ডুবুরির মাধ্যমে ১০ মিনিট খুজাঁখুজিঁ করে লাশ না পেলে উনার চলে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা রমজান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ডুবুরি আসলো নামে মাত্র। এ আসার মানে হয়না। ১০ মিনিট কেউ খুজে একটা মরদেহ? তারা নদীর পাড় থেকে একটু যায়গায় নেমে আবার উঠে চলে গেলেন। এটা মোটেও ঠিক করেননি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি।’
নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্যহীন লিপি আক্তার এর ভাই জুয়েল আহমেদ জানান, ‘আমরা পাশের বাড়ির একটা বিয়ে ছিল সেখানে গিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনি আমাদের বোন পানিতে পড়েছে। সাথে সাথে নদীতে অনেক খুঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু পাইনি। তিনি সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন।’
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে ধলাইর পাড় গ্রাম থেকে কয়েকজন আসেন সরাসরি অফিসে। পরে সিলেট থেকে ফোন করে একজন ডুবুরি এনে ধলাই নদীতে নেমে অনেক খুজাঁখুজিঁর পর লাশ পাওয়া না গেলে চলে আসে।
১০ মিনিট ডুবুরি নেমে চলে আসলো ভালো ভাবে কাজ করলো না এমন অভিযোগ স্থানীরা দেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি তিনি ৩০-৪০ মিনিট নদীতে নেমে কাজ করেছেন। তবে আমি সেখানে ছিলাম না। আমি আপনার অভিযোগের বিষয়টি উর্ধতন কর্তীপক্ষকে অবগত করবো এখনোই।
জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, ‘দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ উদ্ধারের জন্য কাজ করছে।’